রূপকথার এই ছোট্ট ঘরে মেঘ-সূর্যের খেলা,
জানলা দিয়ে ঢুকলো এসে, তোর...মেঘ বালিকার ভেলা।
বন-পাহাড়ের গন্ধ মাখা তোর...স্বপ্ন-ভেজা গায়,
ইচ্ছা-সুখে ডুবেছিলাম আমি, মায়াবী তোর মায়ায়।
তোর বুকেতে ছাপ দিয়েছিলাম, নিকোটিন-ভরা মুখে,
ঘুম-ঘুম খেলে জলে ভেসেছিলি, ভাসলি আমার সুখে।
বান-ভাসা সুখে...ভাসলো এ-বুক,
রূপকথা সুখে, মায়াবী অসুখ!
বোবা ইমারত দেখলো তো সবই, তুললো স্মৃতির ছবি,
মেঘ-সূর্যের স্বপ্ন-খেলায়ঃ তুই কবিতা, আমি কবি।
...
দূরের ষ্টীমার ডাক দিয়ে যায় নিতে তোকে আরো দূরে,
হঠাৎ শহর চোখ খুলে দেখেঃ তুই যে আমার ঘরে!
শহর উঁকি দিলো জানলাটা দিয়ে!
রোদ পালালো বৃষ্টির ভয়ে!
রূপকথা ছিল...ঘুমের ছায়ায়!
আমার স্বপ্নটা...তোর বালিকা-ভেলায়!
...
হঠাৎ ঝড়ে, তুই বুদ্বুদ, ভেলাটা বিজলি-ঝলক!
রূপকথা হলো: ঝরে যাওয়া জল, স্বপ্ন: পাখীর পালক!
ঝড়-বৃষ্টিতে মেঘটা উধাও, ভাঙলো ঘুমের খেলা,
মায়াবী আঁধারে নিকোটিন সাথে, তুই-হারা এই...আমার সন্ধ্যাবেলা!