তুমি জিজ্ঞেস করেছিলেঃ
       আসমান পানে কি দ্যাখো?
আমি বলেছিলামঃ
       আমার তারাটাকে হারিয়ে ফেলেছি!
তুমি জিজ্ঞেস করেছিলেঃ
       সমুন্দর কিনারে কি খুঁজো?
আমি বলেছিলামঃ
       আমার মুক্তোটাকে পাচ্ছি না কোথাও!

তুমি তারপর, জানতে চাইলেঃ
       এই আঙ্গুলগুলি দিয়্যা আমার মুখটাতে কিসের ছবি আঁকো?
আমি কি করে বলিঃ
       বুকের মধ্যে ঘুন পোকা!
       মনের মধ্যে শুয়ো পোকা!
       আর শরীর-মাঝে, হেঁটে বেড়াচ্ছে... মন্দলোকের তেলাপোকা!

তুমি জানতে চেয়েছিলে তোমার ভাষায়ঃ
       চক্ষু দুইটা অমন স্থির তবু দ্যাখো যখন, কাইপ্যা উঠি ক্যান?
আমি বলতে পারিনিঃ
       সমস্ত শরীরে বিষ আমার!
       মনের ভিতরে অনন্ত অঙ্গার!
       যদি বুঝতে দেই,
              আমার আগুনে পুড়ে যাবা তুমি!
              ভূমিকম্পে ধ্বসে যাবে তোমার ঘর!
              অগ্ন্যুৎপাতে ছারখার হবে তোমার সাজানো বাগান!
...

তাই,
       দূরে থাকো তুমি নারী, কাছে এসো না।
       বুঝতে চেয়ো না, সুবাস দিয়ো না।
       পাশে বোসো না, ছুঁতে দিয়ো না।

তারাটাকে ফিরে পেতে...মুক্তোটাকে খুঁজতে যেয়ে,
হন্তারক হয়ে আমি যদিঃ
       তোমার আকাশটাকে বিদীর্ণ করে দেই!
       তোমার শামুক-খোলসটাকে টেনে খুলে দেই!
       লুকোবে কোথায় তুমি... তখন?