ছেলেটা জন্মাল গাজ্জায়
ধ্বংস স্তূপের পাশে, বিশ্ব বিবেকের ধজ্জাধারিদের দ্রোণের নীচে!
মর্টার এর না-থামা গুলির শব্দে থেমে গেছে তার জন্মের কান্না!
মাতৃ গর্ভেই লিখা হয়ে গেছে তার ভবিষ্যত :
“তুই হবি মানব জাতীর নিকৃষ্টতম মানব!
তোর জন্ম হয়েছে গ্যাস চেম্বারে পুড়েছে যারা
তাদের উত্তরপুরুষদের ভূল-প্রতিশোধের শিকার হতে!
তোর জন্ম হয়েছে গাজ্জা-খাচায় বন্দী থাকতে, প্রতিবেশীদের উচ্ছিষ্ট খেতে
আর, অন্য মানুষদের অবহেলা-ঘৃণায় বেড়ে উঠতে!
তোর সামনেই তোর পিতা কে অপমান করতে করতে হত্যা করা হবে,
তোর মাতাকে দিয়ে ভিক্ষা করানো হবে,
তোর ভাই কে পঙ্গু আর বোনকে সর্বহারা বানানো হবে।
তুই যদি বেঁচে যাস কোনভাবে, অপুষ্ট তোর দেহটাকে দেখিয়ে
আতঙ্কবাদের ভয় দেখানো হবে। তোর প্রতিবাদের ভাষাকে
ব্যবহার করে আরও বেশী মারনাস্ত্র বানানো হবে, আর
তোর ছুঁড়ে দেয়া থুথু এবং পাথর গুলোকে আটকানোর জন্য
বানাবে ওরা বিলিয়ন ডলারের রক্ষা-ডোম!”
গাজ্জায় যে শিশুর জন্ম হয়েছে আজ রাত্রে,
সকাল দেখার নিশ্চয়তা নেই তার কোন!
যতদিন বাঁচবে এই শিশু যায়োনিস্ট আর শেখেদের দয়ায়,
প্রতিটাদিন তাকে দেখতে হবে মনুষ্যত্তের কাঙ্গালিত্ত! পিপীলিকার মতো জীবন হবে, সুরঙ্গ খুড়বে বাঁচার তাগিদে,
আর কোন এক অনুল্লেখ্য ভোরে, মানুষের নিক্ষিপ্ত বোমায়,
মরে পরে থাকবে দালানকোঠার ভগ্নস্তূপে!
শিশুটির কোন আশা নেই, নেই আশা গাজ্জার আর ফিলিস্তিনের!
পৃথিবীর মানুষের মনে নিজের অস্তিত্ব ঘোষণা করার একটাই উপায় জানা তারঃ
পাথর ছুড়ে মারা আর তার বদলে,
তার বিধাতাদের পাঠানো বজ্রাঘাতে ফিরে যাওয়া
সেখানে, যেখান থেকে এসেছিল এই দোজখে!