তোকে নিয়ে আজ হেঁটেছি কাশ্মীরের
       বরফ ঢাকা কারাকোরাম পর্বতমালায়!
তোর চোখের কোনায় বরফ ভাঙ্গা সূর্যের স্ফুলিঙ্গ ছিল
       আর আমার শরীরে ছিল সেই সূর্যের উষ্ণতা!
আঁকাবাঁকা স্বপ্নিল বরফ-চাদরে ঢাকা পথগুলি
       কেমন করে যেন পৌঁছে দিলো ঝিলাম নদের তীরে!
তুই নদীর বুকে উড়ে যাওয়া পাখিদের দেখছিলি, আর
       আমিঃ আকাশের বুকে তোর আকাশ-নীল চোখ!
গন্ডালার গলুই এ বসে ঝিলাম পাড়ি দিতেই
       নদীটা হয়ে গেল যমুনা!
তাজের সামনে, যমুনা কিনারে বসে তোর মুখটাকে
       ভালবাসছিলাম যখন নদীর তীরের ঘাসে,
ঘাস হয়ে গেলো খড়ের গাদা!
       আমরা ছিলাম ট্রাকের পিছনে!
খড়ের গাদায় শুয়ে তোর গন্ধ নিতে নিতে
       পৌঁছে গেলামঃ রাজস্থানের গোলাপি শহরে!
তোর রূপে মুগ্ধ রানারা যখন ছিনতাই করতে চাইলো তোকে,
       রক্তের বন্যা বইয়ে রাজস্থানে, পালালাম আমরা!
উত্তর প্রদেশ হয়ে নেপালেঃ পোখারার স্বর্গীয় জঙ্গলে
       ঘর তুললাম দুজনে, ঘর বাঁধলাম!
...
আমাদের সুখ দেখে ব্রিটিশরা গুর্খা পাঠালো
       সব সম্পদ লুট করে নেয়ার জন্যে!
আমার সম্পদ তো শুধু তুই...
       তোর জন্যই যুদ্ধ করলাম!
মহিশুরের টিপু সুলতানের মতো...
       যুদ্ধের ময়দানে, তোর মায়াবী চোখে চোখ রেখে!

...
ওরা ভাসালো আমাদেরঃ মহানন্দায়!
সেখান থেকে পদ্মা-যমুনায়, তারপর...সমূদ্র-সঙ্গমে!

সেই থেকে, আবহমান কাল ধরে...
মিশে আছি, আমরা, এই বাঙলার বদ্বীপে।