তুই কাছে আইস্যা খাড়াইলি যখন,
তর খুশবু… ছুঁইলো আমার আত্মাটারে!
ওই ওষ্ঠ দিয়্যা ছুঁইলি যখন আমার চক্ষু দুইটারে,
তর নিঃশ্বাস… ছুঁইলো আমার দেহটারে!
হাতটারে টাইন্যা নিয়া ধরলি যখন,
আমার খরখইরা বুকের জমিনে…আষাঢ় মাইস্যা মেঘ জমলো!
কোত্থেইক্কা জানি উইড়্যা আসলো... নদী-গন্ধী ঝিরিঝিরি বাতাস!
আর বৃষ্টি নামলো… আমার আকাশ ভাইঙ্গা!
...
নূহ নবীর প্লাবুন উঠলো আমার পৃথিবীটাতে!
...
থামবো কবে জানিনা, তয়... থামবো যখনি,
তরে একটা নতুন পৃথিবী বানায়্যা দিমু আমি।
তুই হবি তার রানী!
যা চাইবি, তাই হবেঃ
বৃষ্টি চাইলে, বৃষ্টি;
মেঘ চাইলে, মেঘ।
তুই সুখী হবি যখন,
তারায় তারায় ভইরা দিমু আকাশটারে!
তর হাসি দ্যাখতে পাইলে,
জ্যোৎস্নার বন্যায় ভাসায়্যা দিমু দুনিয়াটারে;
কষ্ষ্ট পাস যদি,
কালবৈশাখী ঝড়ে তছ্নছ কইরা দিমু পুরা গেরামটারে,
আর যদি কান্দতে চাস কখনো,
আমাবস্যা দিয়্যা ঢাইক্যা দিমু পুরা পৃথিবীটারে।
...
তুই হইলি দেবী আমার!
যদি ধইরা রাখোস হাত,
ভাসতে পারমু, বাঁইচা যামু।
আর যদি ছাইড়া দ্যাস,
আমার দুনিয়ার… অধরা সব স্বপ্ন নিয়্যা
ডুইবা যামু এই প্লাবুন-জলে।