গরম কি পড়েছে চন্দ্রীমা দেখেছো?
ঢাকার সব ধূলা ঘাম হয়ে লেগে আছে মুখে!

হুম... অসহ্য।  
সারাদিন টইটই করে রোদে ঘুরলে ধূলা তো জমবেই।
এখন কোথায় তুমি? খেয়েছো দুপুরে?

শাকিলের সাথে বের হয়েছিলাম দুপুরে।
চা, সিগারেট, আর সিঙ্গারা – খারাপ না!

সেজন্যই উধাও ছিলে!  বন্ধু পেলে,
আমাকে মনে পড়ে না তোমার!

কি যে বলো!  তেলাপোকাও একটা পাখী আর শাকিল ও তুমি!
তবে হ্যাঁ... ছোটবেলার দোস্ত তো, আড্ডায় মজা খুব।

হুম বুঝেছি, আর বলতে হবে না, হিংসাই হচ্ছে!

এখন বলোঃ সারাদিনে কি করলে?

কিছুই করিনি, প্রেমে পড়ে আলসে হয়েছি আরো!
রবিবারে খেতে বলেছি কয়েকজনকে, তার যোগাড়ে
কাঁচাবাজার গিয়েছিলাম। ভ্যাপসা গরমে কাত আমি।

কত্তদিন খাই না আমিও!

কি?
না থাক, বলতে হবে না।

ভয় পেলে! আমিতো ক্ষুধার কথা বলছিলাম!

তোমার ক্ষুধা তো আমি চিনি,
টেবিল ভরা খাওয়া দিলেও হাত বাড়াবে আমার দিকে!

তুমি হচ্ছো জীবন দাত্রী,
অন্য জিনিষে তো মনের ক্ষুধা মেটে না আমার!
তুমি হচ্ছো পেট্রোল আমার,
ইঞ্জিন থেমে যাবে যে তুমি না আসলে!

তুমি তো কথার রাজা, পারবো না তোমার সঙ্গে।
বলোঃ কবিতা লিখছ না কেন আজকাল?

কবিতার জন্য তো তোমাকে চাই।
কবিতা চাইলে তোমাকে দিতে হবে যে!

হুম...চাওয়া বাড়ছে তোমার!
তবে, তোমার মায়াজালে ধরা খেয়ে আছি।
আমিও চাই তোমায়। কবিতার জন্য নয় শুধু।  

তুমি কেন চাও?

আমি চাই স্বপ্ন দেখতে!
তুমি স্বপ্নের কারিগর আমার!

বাস্তবে আমার অস্তিত্ব নেই তবে!

তোমার মতো ভাষা আমার নেই ধ্রুব,
তবে...এটুকু জানিঃ আমার স্বপ্ন আর বাস্তব
... মিলেমিশে একাকার তোমাতে!