ছবিটার গল্পঃ

ইমাম হোসেনের রক্তে রাঙানো কমলা আকাশের নীচে,
সবুজাভ নীল নদীটা ভেসে আসছিলো দিগন্তের কাছ থেকে!
ঝিরঝিরে বাতাস ছিল আর, দূর্বা ঘাসে ছিল...বাতাসের বন্যা ।
ছবিটার এক কোনে বসে ছিল গম-গন্ধা এক নারী
       আর, তার কোলে মাথা রেখে শুয়ে ছিল স্বপ্নদ্রষ্টা এক পুরুষ!
       মেয়েটার চোখে ছিল গোধূলি বেলার তৃষ্ণা, দিগন্ত-পানে মেলে ধরা
              দৃষ্টিতে ছিল...নীল নদীটার জল-ছায়া,
       ছেলেটার দু’হাতে ছিল দিগদিজ্জয়ের গর্ব, অথচ
              দু’চোখে ছিল দূরের কোন পাহাড় চূড়ার স্বপ্ন!
       শেষ বিকেলের মায়াবী আলোয়,
              গম-গন্ধা মেয়েটার সাথে ছেলেটার ভালবাসাবাসি হোল!
...
ছবিটার পরের গল্পঃ

তারপর,
বহুদিন...যুগ যেন!
ছেলেটা স্বপ্ন বেয়ে উঠে গেলো পাহাড় চূড়ার ঝলমলে শহরে!
       আর, হারিয়ে গেলো সেই গম-গন্ধা মেয়েটা!
জীবন যুদ্ধে সাফল্য–লোভী ক্রীতদাস সাফল্যের চকচকে আলোয়
       ভুলে গেলো সেই মায়াবী বিকেলের কথা, গম-গন্ধা সেই মেয়েটার কথা!
...
ঝলমলে এক রঙিন শহরে
       অপ্সরারা ঘুরে বেড়ায়!
       কেউ ধরা দেয়, কেউ দেয় না!
       হাত বাড়ালেই পাহাড়চূড়া,
       কখনো ছোঁয়া যায়, কখনো যায় না!
মায়াবী সব গন্ধ মাঝে, একদিন আবারো,
ছেলেটার... গম-গন্ধের সেই স্বপ্নের কথা মনে পড়ে!

বহুদূরের সেই সমতলের ডাকে
       নেমে আসে সে পাহাড় চূড়া থেকে,
       ফিরে আসে সবুজাভ-নীল রঙা নদীটার কাছে।
       একাকি খোঁজে পুরনো সেই ছবিটাকে!
...
জনপদ জেনে যায়, ছড়ায়...
       পুরুষ–বুকের সেই হুহু ডাক!
       কানে কি যায়?
       শোনে কি সে?
বহু যুগ কি পার হয় আবারো!
...
তারপর,
একদিন, বাতাসে বাতাসে পৌঁছে সে ডাক
গম-গন্ধার কাছে।
সামনে এসে দাঁড়ায় সেই নারী
       যার ছিল তৃষ্ণার্ত দুচোখ!
...
নতুন ছবির আইডিয়াঃ

ওরা বসে থাকে সেই একই নদীর ধারে,
       পাশাপাশি।
       ছেলেটার বুকে দিগদিজ্জয়ের সাহস নেই আর,
       নেই পাহাড়চূড়ার টান ও!

তৃষ্ণার্ত দুচোখ দিয়ে সে খুঁজতে থাকে
       তার গম-গন্ধের স্বপ্নকে
       ...পাশে বসা সে নারীর মাঝে!
পায় কি?
মেয়েটার বুক থেকে উঠে আসে
       মায়াবী – মাতাল এক শহর-গন্ধ!
...
মেয়েটার চোখে এখন পাহাড়চূড়ার স্বপ্ন, আর
ছেলেটার চোখে নদীটার জল-ছায়া!