আমি ছিলাম না বলেই নপুংশকে গিজগিজ করছে ঢাকা শহর,
ভুল মানুষের অত্যাচারে বলাতকৃত হচ্ছে ঢাকার রাজপথ!
আমি ছিলাম না বলে তোমরা পয়দা করে যাচ্ছ যতসব অমানুষ
যারা নিজের গর্তে ঢুকে সহ্য করে যাচ্ছে সব অত্যাচার!
আমি নেই বলে যে-সে যখন-তখন হরতাল ডাকছে,
পোড়াচ্ছে আমার ঢাকা কে, ভাঙ্গছে গাড়ী, মারছে মানুষ!
আমি নেই বলে রাজাকারের পিছনে মুখ ঢাকছে মুক্তিযোদ্ধা,
রাজনৈতিক জারজদের হাতে লাঞ্ছিত হচ্ছে বাঙলা মা!
আমাকে না দেখে সাহস বাড়ছে পাপ-নীতি তে বেড়ে উঠা ছাত্রনেতাদের,
জিন্মী করেছে আমার ভাইবোনদের, ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে দেশ জুড়ে!
আমাকে না দেখে ওরা ঢুকছে এসে আমার ঘরে, অপমান করছে আমার পিতা-মাতাকে!
ভোট কেনা বেচার ব্যবসা করে নিজেদের ক্ষমতার পাহাড় বানাচ্ছে!
আমি দূরে বলে, আমার শূন্য গদী দখল করেছে মৃত নেতাদের আত্মীয়স্বজন,
জারজরা লুটে নিচ্ছে আমার স্বদেশ, দেশটাকে তুলে দিচ্ছে তাদের ধর্ষক পিতাদের হাতে!
মন্ত্রীরা গড়ছে নতুন প্রাসাদ, জমি দখলের মতো দখল করছে ব্যবসা, আর
দু’শ বছরের বেনিয়া প্রভূদের মতো শুষে নিচ্ছে বাংলাদেশের রক্ত!
আমার অনুপস্থিতিতে ওরা ধ্বংস করছে আমার সোনার বাংলা।
ধৈর্যের বাঁধ ভেঙ্গে যাচ্ছে আমার, রক্তগুলো ফুটতে শুরু করেছে আবার,
আবারো সেই সাতচল্লিশ, বায়ান্ন, উনসত্তর, একাত্তর, আর নব্বই এর মতো
জেগে উঠছে আমার সমস্ত ক্রোধ, আগুনের হল্কার মতো জ্বলছে আমার বুক!
এবার যখন আসবো আমি, প্রতিটা অপমান এর প্রতিশোধ নিবো।
ওই মসনদ কে পুনর্দখল করবো, মৃত নেতাদের নির্বাসিত করবো,
আর চিরদিনের জন্য বন্ধ করবো প্রেতাত্মাদের রাজনীতি।
জাগছি আমি। আসছি আমি।