কৃষ্ণচূড়ার লালে ছেয়ে গেছে বেইলী রোড।
সেই কবেকার ‘বসন্ত গন্ধের মতো আপন’ তুমি
আবারো হাঁটছিলে সেই রাস্তায়!
ফুটপাথে ফুলের দোকানে রজনীগন্ধার সুবাস
আর, নাটকের আলোকিত মানুষদের ভীড় ঠেলে
তুমি ঢুকছো আর বের হচ্ছো শাড়ীর দোকানগুলিতে!
আর আমিঃ একাকী দাঁড়িয়ে এই ল্যাম্পপোস্টের নীচে,
দূর থেকে দেখছি তোমার ব্যস্ততা...মুগ্ধ চোখে...আজ ও।
মনে পড়ে সেদিন...যেদিন তোমাকে প্রথম
শাড়ী কিনে দিয়েছিলাম আমি... এই বেইলী রোডেই!
দু’শ টাকার আসমানী টাঙ্গাইল আর
তিনশ টাকায় গভীর কালো জামদানী!
তখনো চাকরি শুরু করিনি!
ভাবতে অবাক লাগে এখন, আমরা...
জীবন শুরু করেছিলাম কিছু বোঝার আগেই!
সেদিনের সেই পাঁচশ টাকায় যে সুখ ছিল, আজ
হাজারো ডলারেও খুঁজে পাই না আমি!
মনে আছে এই বেইলী রোডেই নাটক
দেখতে বসে তুমি আমার হাত ধরে রাখতে
পুরোটা সময়! পেছন থেকে দেখতে পারছে না বলে
তুমি নীচু হয়ে মাথাটা রাখতে আমার কাঁধে!
তুমি নাটক দেখতে, আর আমি তোমার চুলের গন্ধে
বিভোর হয়ে দেখতাম... স্বপ্ন!
স্বপ্নের মধ্যে যা ছিল বৈষয়িক আর লজিস্টিক,
তার সবই এখন আমার আছে, শুধু...
হারিয়ে ফেলেছি আমি, স্বপ্নের চাবিটাকে!
তুমি এখন তাই, স্বপ্নের থেকেও দূরে!
এই বেইলী রোডের রাস্তায় আমাদের ম্যাজিক ছিল! আছে কি এখনও!
দূর থেকে দেখে আমি তোমার চুলের গন্ধ পাচ্ছি আবারো!
সেই আসমানী টাঙ্গাইলে জড়ানো সুখের স্বাদটা পাচ্ছি আবারো!
...
ইছ্ছা করছে তোমার চিবুকটা ছুঁয়ে দেই, চোখে চোখ রেখে বলিঃ
দোকানে দোকানে হেঁটোনাকো আর পিপীলিকা!
শাড়ীগুলি রাখো, আমার হাতটা এসে ধরো, চলো
হেঁটে ফিরে যাই সেই কৃষ্ণচূড়ায় রাঙানো আমাদের দিনগুলিতে!