তোমার কথায় নেশা ছিল চন্দ্রীমা,
চোখের তারায় ছিল আকাশের নীল প্রশান্তি!
কাছে যখন থাকতে, আমার পৃথিবীটা হয়ে যেতো
নীল সমুদ্রের মাঝে ছোট্ট সবুজ বদ্বীপ!
...
তোমার ভাষায় দূর থেকে ভেসে আসা সমুদ্রের গর্জন ছিল ধ্রুব,
দৃষ্টিতে ছিল দূর পাহাড়ের ডাক!
কাছে যখন আসতে চাইতে, কালবোশেখির ভয়ে কাঁপতাম, তবু
চাইতাম, ভাসতে তোমার তুমুল ঝড়ে!
...
তোমার মুখটাতে আমার ভালবাসার সব রঙ দেখতে পেতাম চন্দ্রীমা,
আমাকে নিয়ে ভাবতে তুমি ভীষণ!
আমার কষ্টে – বিষণ্ণতায় হতে অন্ধকার, আর
ভোরের সূর্যের উষ্ণতা দিয়ে তুলে আনতে শীতের করাল গ্রাস থেকে!
অন্তহীন বৃষ্টির মতো ভিজিয়ে দিতে আমার অস্থির তৃষ্ণার্ত মরুভূমী কে!
একফোঁটা ছোঁয়ায় ফিরিয়ে আনতে আমাদের পৃথিবীতে!
...
তুমি ছিলে স্বপ্নের ঘরে তালা দেয়া আমার পুরুষ,
যখন ইচ্ছা খুলে ঢুকে যেতাম তোমার স্বপ্ন- স্বর্গে!
পৃথিবীটা যখন বিষ-দাঁত খুলে খেতে আসতো আমায়,
লুকিয়ে যেতাম তোমার বুকের মধ্যে।
আবহমান কাল ধরে দাঁড়িয়ে থাকা পাহাড়টার মতো, তুমি আগলে রাখতে আমাকে!
আমার জন্যে আকাশ বানাতে, নদী বহাতে, ঝড়গুলিকে দিকভ্রান্ত করে দিতে!
...
তোমার জন্যে অনন্তকাল বাঁচতে চেয়েছিলাম!
...
নদীর স্বপ্ন বুকে নিয়ে তোমার সমূদ্রে ডুবে যেতে চেয়েছিলাম!
...
তোমাকে খুঁজছি আমি চন্দ্রীমা, এই পৃথিবীর প্রত্যেকটা কোনায়!
...
আমি তো বন্দী নিজের তৈরী কারাগারে, খুঁজো না আমায় ধ্রুব।
...
...
একদিন আমি,
উড়ে উড়ে যাবো আকাশের উপরের আকাশগুলিতে, খুঁজবো তোমায়!
ভেসে ভেসে যাবো বহমান ওই পাতাল নদীতে, খুঁজবো তোমায়!
তোমাকে পেতেই আমার হবে চন্দ্রীমা।
মহাশূন্যের মধ্যিখানে অন্ধকার ওই গহ্বর এও যদি লুকিয়ে থাকো, সেখানেও!
একদিন আমি,
ঠিকই খুঁজে নিবো তোমায়,
ছুঁয়ে নিবো অধরা তোমার হৃদপিণ্ড টাকে!
নির্ঘুম আমি ঘুমাবো তোমার নিঃশ্বাসের ছায়ায়!
আকাশ হবো, আকাশ-ভাঙ্গা নোনা জলে ভেজাবো তোমায়...
যেই জলেতে ভাঙবে পাথর, সৃষ্টি হবে আমার চন্দ্রীমা...আবারো!
আবারো,
শুরু হবে...চন্দ্রীমাকথন!