আজ তোমার কপালে চন্দনের গন্ধ ছিল!
বিকেলের সোনালী রোদে তুমি যখন কাছে এলে,
কপাল টা বাড়িয়ে দিলে আমার তৃষ্ণার্ত ঠোঁটের দিকে,
চন্দন-গন্ধা নারী তুমি দূর করে দিলে
...আমার সব নাগরিক ক্লান্তি কে!
আমি যখন তোমার চোখের আকাশে উড়ছিলাম,
বিকেলের পড়ন্ত আলোয় তুমি হয়েছিলে “দময়ন্তী”!
যেন পৃথিবীর সব যোগ্য পুরুষের মাঝে আমিই তোমার “না’লা”!
ময়ূরাক্ষী তোমার দময়ন্তী-দৃষ্টিতে ভিজিয়ে দিলে
...আমার সারাদিনের জমে যাওয়া শহুরে মরুভূমিকে!
তুমি যখন ধরলে আমার হাত,
তোমার আঙ্গুলের ভিতর দিয়ে আমার শরীরে
প্রবাহিত হোল উষ্ণ সঞ্জীবনী সূধা!
তোমার স্পর্শে দূর হয়ে গেলো সব গ্লানি, জীবন-যুদ্ধের সব অস্থিরতা!
ঝরে গেলো সব ক্লিষ্টতা, আর আমার মানবীয় দৈন্যতা!
একটা চমৎকার বিকেলের স্বপ্ন পড়িয়ে দিলে আমার চোখে!
ঘাস ফড়িঙের মতো, ঝরঝরে কাশ ফুলের এই জঙ্গলে
দুজন দুজনকে ছুঁলাম, তোমার ছোঁয়ায়... আমি পূর্ণ হলাম!
বুঝলামঃ বেঁচে থাকা যায় এই সব মুহূর্তের জন্য।
বুঝলামঃ তুমিই শুধু সত্যি, বাকী সব কলরব, অনাবশ্যক।
কাশ ফুলের ওই জঙ্গলে কিংশুক তুমি, আমার
বুকে মাথা রেখে “প্রিয়” নামে ডাকলে যখন,
আমার কিংবদন্তীর এই শ্মশান হৃদয়ে জীবনের জোয়ার উঠলো!
বলেছিলাম তাইঃ সাথে থাকো দেবী...তুমি ছাড়া আর সব অর্থহীন এখন।