ঃ
আজ সারাদিন বৃষ্টি হচ্ছে
টানা, মুষলধারে। দেখেছো চন্দ্রীমা?
ঃ
হুম। বুকের ভিতরের ধ্রুপদী কান্নার মতো
বিষণ্ণ দিন, কিন্তু ভালো লাগছে। তোমার?
ঃ
বারান্দায় বসে বৃষ্টি দেখছি। মনে হচ্ছে
না থামুক এই বৃষ্টি, ঝরে যাক একটানা!
ভাসিয়ে দিক চরাচর, দিগন্ত, আর
আমার বোঁদেলেয়ারের শহুরে রোমানটিসিসম!
আজ খুব মাটির কাছে যেয়ে শানকি তে
ডাল-খিচুরী, ইলিশ আর মরিচ খেতে ইচ্ছা করছে!
ইচ্ছা করছে আটপৌরে শাড়ীতে তোমাকে দেখতে!
ইচ্ছা করছে হলুদ মাখানো হাত আর
পিঁয়াজগন্ধী চন্দ্রীমা শরীর টাকে বুকে নিয়ে
ফুটো চালার ঘরে, ভাঙ্গা বিছানায় শুয়ে,
আমরণ ভালবাসায় ইচ্ছামতো ভিজতে!
ঃ
মানুষ ছেঁড়া কাঁথায় দেখে লাখ টাকার স্বপ্ন,
আর তুমি তো দেখছি উল্টোটা! তুমি
বোঁদেলেয়ারের চেয়েও বড় শহুরে রোম্যান্টিক ...ধ্রুব!
ঃ
কথাটা সত্যি জানি, তবু আজ
তোমাকে খুব পেতে ইচ্ছা করছে।
পালাবে আমার সাথে চন্দ্রীমা?
এই শহর ছেড়ে দূরে...নাম না জানা কোন বদ্বীপে!
যেখানে নদীর মোহনায় আমি তুলবো এক ভাঙ্গা ঘর!
আমি কাঠুরিয়া হবো, আদিম শিকারি হবো!
দুজনে মিলে মাটির চূলাতে রান্না করবো!
আমার চোখে ধোঁয়া ঢুকবে আর তুমি পরম আদরে
তোমার ঘামে ভেজা আঁচলে ফুঁ দিয়ে আমার চোখ মুছে দিবে!
ঘাসের বিছানায় পাশাপাশি শুয়ে সারারাত তারা দেখবো!
ভোর রাতের হীম বাতাসে দুজনে দুজনের শরীর থেকে ওম নিবো!
অমানুষিক পরিশ্রম করবো, আমাদের এক নতুন পৃথিবী গড়ে নিবো!
যাবে চন্দ্রীমা?
ঃ
আমি তো তোমার স্বপ্নে ঢুকে বসে আছি অপেক্ষায়!
ডাক দাও ধ্রুব। আমাকে ছিনতাই করে নিয়ে চলো!
যে স্বপ্নের কথা তুমি বলছো সেই স্বপ্নেই আমার বসবাস!
আমি যাবো তোমার সাথে... ওই স্বপ্নের বদ্বীপে।
এই শহর ভালো লাগে না আর!
নিয়ে চলো আমায় ধ্রুব! চলো ভিজি
ওই স্বপ্নের বৃষ্টিতে... টানা এবং মুষলধারে!
ঃ
আসবে এখন...চন্দ্রীমা!
ঃ
আসছি আমি।