নিকষ রাত,
অমানিশার অদৃশ্যতায় খেচর
খোঁজে কুহেলিকা,
নিরন্ন কুহেলি কোনো গলির মোড়ে
খদ্দেরের অপেক্ষায়,
চোখের ভাষায় জেগে উঠে খদ্দরের
কালপুরুষ।
দেহের বিবর্ণতায়
কুহেলিকা গভীর অনুরাগে
জেগে থাকে আসুক খদ্দের
মিটাক চাহিদা,ক্ষুধার যন্ত্রনা,
মিটলেই প্রাণে বাঁচে।
ক্ষুধার কাছে পাপপুণ্যের
মুুল্য কিবা আছে?

এ ফুলে নেই সজীবতা
নেই সবুজতা ঝরেছে সব পাপড়ি
তাতেই বসে সুধা পানে ব্যস্ত,
নরেরদল।
কুহেলি নিস্তেজ।
শান্তির বিলাস থেকে
চলে যায় আসে নতুন খদ্দের
শুকনো নদীতে বান।
কুহেলিরা কচুরী পানার ফুল
পানিতে ভাসমান।

পরাগে বসে খেলে নতুন খেলা,
মজা লুটে চলে যায় উপোষেই
উদর উঠে ফুলে,
গর্ভাশয়ে বেজন্মার আগমন,
লজ্জিত সমাজ লজ্জিত ভূবণ
তাই দেখে আসমানী ফুলগুলো মিটি মিটি জ্বলে হারিয়ে যায় ভোরের আকাশে।
লুকিয়ে দেখে ফুল ভ্রমরের লুকোচুরি,
নিকষ কেটে পৃথিবীতে আসে আলো,
বেজম্মার ছায়ায় আলোয় আঁধার,
কুহেলিদের হৃদয় হয়ে যায় তামাটে,
ঝরে যায় কুহেলির মত ফুলগুলি,
ধ্বংস হয়ে যায় হাজার হাজার কলি
ধ্বংস হয় হাজার ভ্রুন!
পৃথিবী বিনষ্টে আর কেউ নয়,
সভ্য মানুষের অসভ্যতাই দায়ী।