জলাশয়ের পাশ ঘেঁষে
গ্রাম্য মেঠো পথে,
জঠাধারী এক মুনি
চলছে ত্রিশুল হাতে।
কপালে তার তিলক ফোটা,
চিবুক ভর্তি দাড়ি,
জয়গুরুর নাম সহ
সদা জপে হরি।
সেদিন সকাল বেলা
জলাশয়ের পাশে;
বগাবগি আহার খোঁজে
পেখম তুলে নাচে।
বগাবগির নাচন দেখে
মুনির জিভে আসে জল;
পাখীর মাংস ভারী মজার
ঠোঁট রসে টলমল।
মুনির চাহনী দেখে
বগি পেল টের,
চল বগা পালাই,
আহার হয়েছে ঢের।
বগা বলে বগি
উনি একজন মুনি;
উনি হলেন গুনি
উনি কেন হবেন খুনি?
বগার কথা শুনে বগি
ভাবে মনে মনে,
তাই যেন হয় কপালে
বেঁচে যাই দুজনে।
আনমনা বগা আহার খোঁজে
মাথা করে নিচু;
ত্রিশুল হাতে দারায়ে মুনি
বগার পিচু পিচু।
সুযোগ পেয়ে ত্রিশুল দিয়ে
গুঁতো মারে পিছে;
পাখনা ঝাপটায় বগা
বাঁচবার আশে
বগা বলে বগী একি হল?
প্রান বাঁচানো দায়,
বগি বলে বগা বিশ্বাস করবি কারে
এখন আমিও নিরুপায়।
বগা ডানা মেলে বলে
হায়রে দুনিয়া হায়রে মুনি;
লোভ তোমাকেও করল
পাপিষ্ঠ আর খুনি।