গুরু ভক্তি
আজহারুল ইসলাম আল আজাদ

গুরুকে দেখে মনে পড়ে
সেই স্কুল জীবনের স্মৃতি,
ভয় ভিতি শ্রদ্ধা ভক্তি
আজও নাই কোন কমতি।

পেরুতেমনা অফিসের দরজাটাই
আজও গুরুকে ভয় পাই,
গুরুর সান্নিধ্যে কথা বলবই
বাইরে মুখে ফুটাতাম খই।

তাঁর দর্শনে যেই গিয়েছি
এমনি ভয়ে ভূত হয়েছি
কথা বলতে পারলেম কই?
সালাম দিয়ে দঁড়িয়ে রই।

তিনি শ্রদ্ধেয় শিক্ষা গুরু
বুকটা কাঁপত দূরুদূরু
গুরুকে কিছু ভুল বলা
ভুল হলেই কান মলা।

ইটাই ছিল গুরু ভক্তি
বেদমন্ত্র ছিল গুরুর উক্তি
যতই হই শেয়ানা শিষ্য
গুরুর কাছে অতি নি:শ্ব।
গুরুর সাথে চলা বলা
সাগর মাঝে বড়শি ফেলা।

এখন যেন গুরু ভক্তি
শ্রমিকের কাজের চুক্তি,
নেইতো কোন শাসন বারণ
বদলে গেছে শিষ্যের ধরণ।

গুরুরাও এখন ঢিলেঢালা,
কান মলাতো দুরের কথা,
চলেনা কঠিন কথা বলা
চোখের ভাষাও নেই যথাতথা

যার অচিলায় দেশ সেরা
তার মর্যাদা ছেড়া বেড়া
চলছে গুরুকে শাসন করণ
করছে সম্মানের অপহরণ।

উঠে যাচ্ছে গুরুর কদর,
উঠছে স্নেহ শ্রদ্ধা আদর
দেশ সেরা শিষ্যের কাছে
গুরুদের নেই সমাদর।

থাকতো যদি হালকা শাসন
থাকত তখন গুরুর আসন,
আদর্শ মানুষ বানাবার শিক্ষা
বিদ্যাপিঠের হোক দিক্ষা।







,