বে জন্মার খাবার
আজহারুল ইসলাম আল আজাদ
নিকষ রাত,
অমানিশার অদৃশ্যতায়
খেচর খোঁজে কুহেলিকা,
নিরন্ন কুহেলি কোনো গলির মোড়ে
খদ্দেরের অপেক্ষায় জঙ্গল খোঁজে।
চোখের কোঠরে লোনা জল
তবুও জেগে উঠে খদ্দরের পকেট।
দেহের বিবর্ণতা গভীর অনুরাগে
জেগে থাকে আসার পতিক্ষায়,
মিটে চাহিদা, প্রাণে বাঁচে ক্ষিদাটা,
ক্ষুধা পাপ পুণ্যের বিচার মানে না।
সজীবতাহীন ফুল রোদে পোড়া
নেই সবুজতা ঝরেছে সব পাপড়ি
তাতেই বসে সুধা পানে ব্যস্ত ভোমর।
কুহেলি নিস্তেজ,শান্তির বিলাস নিয়ে
চলে যায়, শুকনো নদীতে বান ডাকে
কচুরী পানার ফুল পানিতে ভাসমান।
পরাগে রেনুতে বসে খেলে নতুন খেলা,
উপোষেই উদর ফাঁপা বেজন্মা খাদ্য
তাতে লজ্জিত সমাজ লজ্জিত ভূবণ
আসমানী ফুলগুলো মিটি মিটি জ্বলে
হারিয়ে যায় ভোরের আকাশে।
লুকিয়ে দেখে ফুল ভ্রমরের লুকোচুরি,
নিকষ কেটে পৃথিবীতে আসে আলো,
বেজম্মার ছায়ায় আলোয় আঁধার,
কুহেলিদের হৃদয় হয়ে যায় তামাটে,
ঝরে যায় কুহেলির মত ফুলগুলি,
ধ্বংস হয়ে যায় হাজার হাজার কলি
ধ্বংস হয় হাজার ভ্রুন!
পৃথিবী বিনষ্টে আর কেউ নয়,
সভ্য সমাজের অসভ্যরাই দায়ী।