অচেনা পথের পথিক
আজহারুল ইসলাম আল আজাদ
অচেনা পথে হাটতেই থাকি,
নিত্য জানা বিদায় হয় অচেনারা,
আমাকে নিয়ে তামাশায় আত্মহারা হাসি হাসে।
বোধ থেকে বয়সের ব্যবধানে চিরায়ত জানা হয় অজানা, কিছু স্মৃতি, কিছু বিস্মৃতি উচ্চ সপ্তকের মত বেজে উঠে।
জীবন প্রবাহে আনন্দ বিষাদের লুকোচুরি।
আমি অচেনা পথে হাটি।
বিলাসী প্রিয়জন অভিলাষে নৃত্য করে,
বিভাবসু ঝলমলে চলতে চলতে কোন সুদুরে ঘুমিয়ে পরে।
আমি ভাসমান নির্ঘুমে জাগি রাতজাগা
পাখি নীলকন্ঠের জাগরণী গান বিঁধে প্রাণ।
মর্মর শুকনো পাতার ধ্বনি।
পূর্নিমার চাঁদ বাতায়নে ঝিলিক হাসে প্রত্যুষে বিভাবসু পুনশ্চ ঝলমলে উঠে।
তখনও অজানা পথে হাটতেই থাকি।
কাননে সূর্যমুখী হাসে বকুল তলায় ঝরা বকুল হরিদ্রা বরণে মৃত্তিকার সাথে গড়াগড়ি করে ঘুমিয়ে পরে। পথিক পায়ে দলিত করে,
তাজা বকুলের মালা পরায় প্রিয়জনের গলে।
একদিন আমিও ঝরা বকুল হব,
হরিদ্রা বরণ হবনা মৃত্তিকা হব।
সেখানে ফুটবে ঘেঁটো ফুল বুনো ঘাষ, কালশিরা অথবা পতিত ভূমি নয়তবা ফসলের মাঠ।
এখনও অচেনায় হাটতে থাকি, একদিন অচেনা হয়েই যাব।
পথে যে ছায়াটি পরেছিল, সে ছায়াটি
বিভাবসুর আলোয় আর পরবেনা, নতুনের ছায়া পরবে সে পথে,
বাতায়নে চাঁদের হাসি ঝিলিক মেরে খিলখিলিয়ে নতুনের হাসে সাথে।
একদিন নতুনও পুরাতন হবে।
যারা হারিয়ে গেছে আঁধারে গেছে ঢেকে,
আমিও হারিয়ে হব সে আঁধারের সাথী।
প্রজন্ম পরম্পরায় জীবের আবাস হবে,
মৃত্তিকার গহব্বরে।
এ পৃথিবী যেমনি আছে তেমনি রবে।