বালির বাঁধের উপর জুড়ে দেয়া হলো
সারি সারি উন্নয়ন, তাসের ঘর ; সুরম্য স্থাপনা
সহসাই বহুবিধ ধাক্কায় খসে পড়বে সেসব—
রাজ রাজরাজরাগণ মজে আছে
অর্থমৈথুনে ;
তুমুল কামে ও শীৎকারে মাতিয়ে দিচ্ছেন চরাচর
এদিকে মুদ্রাস্ফীতি হাতছানি দিচ্ছে
মুল্যস্ফীতি বসে আছে জাতির স্কন্ধে
ইতোমধ্যে পানি ও কুমড়োর রেসিপি প্রসব করেছেন
ধন্যা ধন্যা ; ও সে জাতির কন্যা!
বরাবরের মত
প্রতিবেশীর ভালোবাসার
মদন-বন্যায় তলিয়ে যাবে সোনার ফসল আহ
এদিকে ক্ষণে ক্ষণে
কৃচ্ছ্রব্রত করার হিতোপদেশ দিচ্ছেন জ্ঞানী ও গুণীজনে—
আমি কবি ; ওসব কোনো ঘটনাপরম্পরাই
আমি আমলে নিচ্ছিনে
মুদ্রাস্ফীতি মূল্যস্ফীতির চোখরাঙানিকে
সজোরে ছুঁড়ে মারবো রাষ্ট্রের ডলডলে স্তন ও নিতম্বে
হ্যাঁ আমি
প্রতিদিন হানা দেবো পানশালায়
ভিনদেশী মাল গেলবো গ্যালনে গ্যালনে
আমার পানবিলাস দ্যাখে প্রচুর ফ্রাস্টেশনে উচ্ছন্নে যাবে
রাষ্ট্রের আমলা ও কেরাণীগণ
সাকীগণের হস্তস্পর্শে স্বর্গীয় সুখ নেমে আসবে আমার ধরাধামে
রুমি, গালিব, হাফিজ, খৈয়াম মিলে মেতে উঠবো
স্বর্গীয় সুর-সঙ্গমে
নিশ্চিত অসংখ্য কবিতার নিষেক হবে আমাদের নিকষ অর্গাজমে
বাহিরে রাষ্ট্রের পেটিকোট খুলে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়বে
বিক্ষুদ্ধ জনতা
আমি পানশালা থেকে বেরুবো ধীরপায়ে
পেটিকোটহীন রাষ্ট্র চক্ষুষ্মান হতে না হতেই
আমি হো হো করে হেসে উঠবো—
তালি বাজাবো না হয়তো
কিন্তু আমার কি তখন প্রচুর পিনিক হবে?
হলেও হতে পারে!
আমার ডানপাশে কাত হয়ে শুয়ে থাকবে
রোগ জরা দারিদ্র ক্ষুধা ও মঙ্গা
হয়তো অভ্যাসবশতঃ বসার জন্য আমার
উরুসন্ধিতে টেনে নেবো রাষ্ট্রের গুপ্তবস্ত্রহীন জঙ্ঘা..