মৃত্যু ও একগুচ্ছ কবিতা
১.
পরজীবী চাঁদ জোৎস্নার অহম মেখে
সূর্যের কোপালে ক্রমাগত এঁকে যায়
ঋণখেলাফের নীল দস্তখত—
—
২.
একগুচ্ছ উড্ডীন ঘাসফুল
হাওয়ার দরোজা ভেঙে
খুঁজে ফিরছে আকাশের শেষ সীমানা—
—
৩.
আমরা নাক সিটকালেও
একসময় মাটির ব্যবচ্ছেদ করতে করতে
ওরাই রচনা করতো সমৃদ্ধির সবুজ ইতিহাস—
—
৪.
মাটির অন্তঃস্থ একটি ফল
যার আবেদন নিয়ে সাফা মারওয়ায় ছোটাছুটি করছেন সদ্য তালিমপ্রাপ্ত এক সুফি—
—
৫.
প্রতিদিন পুরোটা সুবহিসাদিকজুড়ে
একটি সুনসান শাদা পাগড়ি
হাওয়ার মিহিন পাপড়িতে
ছড়িয়ে দিতো যিকিরের অমৃত শোভা—
—
জোছনার আলো
//—আজগর আলী—//
এই রূপোলি মেয়ে শুনো, মেঘ হবে মেঘ!
তুলার চাইতেও শুভ্র!
বরফের চাইতেও হিম! হাওয়ার বেগের মত
মসৃণ মেঘ—
একদিন তোমার উদাস ডানায় চড়ে—
উড়ে যাবো দূরে আকাশছোঁয়া কোনো পাহাড়ের চূড়ায়—
হাওয়াদের হিমেল ভাষায় তরজমা করবো চোখধাঁধাঁনো জোছনার শরীরবৃত্তিয় ব্যাকরণ—
এই ফাঁকে রহস্যভেদী আমাদের দুটি চোখে কৌশলে মেখে নেবো জোছনার
অমোঘ কাজল—
মাটির পৃথিবীতে ফিরে এসে
আমরা ফেরী করবো জোছনার সেসব সারাংশ—
এতে কাজ হলে এরপর মূলতঃ
পৃথিবীতে আলো ছাড়া আর কোনো
বোধগম্য ভাষাই অবশিষ্ট থাকার কথা নয়—
ফুলতারাচাঁদ
—
//—আজগর আলী—//
একগুচ্ছ রাতফুল ভীষণ একাকীত্ব নিয়ে ঝুলে আছে জোছনার তারে—
একটি করুণ শঙ্খচিল নিভৃতে
বুনে যাচ্ছে নির্ঘুম নীরবতা ইথারে ইথারে—
এক আকাশ বিষণ্ন তারা ফুটে আছে
সন্ধ্যার ঘন চাদরে—
পল্লিবালার দল সেলাই করছে ফুলতারাচাঁদ হাতের মিহিন আদরে—