জলপ্রেমিকার ভগ্নাংশ
//—আজগর আলী—//
এ মাত্র মাছের হৃৎপিণ্ড ছুঁয়ে যে পাখিটি উড়ে গেল সন্ধ্যার কণ্ঠস্বরে/
একজন দূরাগত পথিক ঘোরের ভেতর
তার পদচিহ্ন মেফেমেফে ক্লান্ত হয়—
যে গাছটির অস্থিমজ্জায় গেঁথে আছে
কাঠুরের প্রমিত স্বপ্ন/
দুপুরের নির্জনতা ভেদ করে কাঠ-ঠোকরারা শুনিয়ে যায় তার অবিচ্ছেদ্য মর্মবেদনা—
ফুলের শুকনো ডানাজুড়ে ঘুমিয়ে আছে যেসকল ব্যর্থ প্রেমিকের অবিনাশী আর্তনাদ/
মধুমাছিরা তরজমা করছে তাদের নয়নাশ্রুর
নির্মল ব্যাকরণ—
কোনো এক উদ্বাস্তু ফাগুনে রাত গভীর হলে ঘরছাড়া কোকিলেরা নিজহাতে শিখিয়ে যেতো যেসব সুপ্রাচীন প্রেম-বন্দনা/
বিবর্ণ এফিটাপে সেসব সারাংশ নিয়ে শুয়ে আছে একজন নিঃসঙ্গ দরবেশ—
এসব দৃশ্যগামী পথের শেষপ্রান্তে
ভুত হয়ে পড়ে আছে জলপ্রেমিকার ভগ্নাংশ—