কোনো এক মক্তবগামী ভোরে-শিশিরের ইতিহাস শুনতেশুনতে আমরা হারিয়ে যাবো- যেখানে একটি তিতির সারাদিন আওড়াতে থাকবে পাতাঝরার স্লোগান- তারপাশে কোনো এক দরবেশের সমাধি- মাথা তুলে আমাদের দিকে তাকাবে- আমরা সম্মোহিত হবো- আমরা হিল্লোলিত হবো- আমরা সমাধির কাছে যাবো-
এরপর তারপাশে শুয়েশুয়ে শুনাতে থাকবো এক হাজার এক রজনীর গান- ছায়াসঙ্গীতের সুরেসুরে দরবেশজনা বলতে থাকবে দেখুন কী মহান! কী মহান-
অথবা কোনো এক নির্লজ্জ দুপুরে আমরাও খুলে ফেলবো -আমাদের এইসব বল্কল পরিধেয়-এরপর নির্নিমেষে পাড়ি দেবো- হিজলতলার ঘোলাটে খাড়ি- ভুলেও আর বাড়ি ফিরবো না- দিনান্তে আমরা পৌঁছে যাবো দক্ষিণের উজানগাঙের চরে- নারকেল পাতার ছাউনি- বাঁশের কঞ্চি গেঁড়ে গড়ে তুলবো থাকার ঘর- তারপর চরের লাল কাঁকড়ার দল আমাদের পায়ের চারপাশে এসে আবহসঙ্গীতের মত শুনাতে থাকবে দেখুন কী মহান, কী মহান!