ক্ষণস্থায়ী ভাসমান ঊনস্থির পাখি, আকাশের নীল ছায়ায় খুঁজে ফেরে
হৃদয়ের হাওয়ায় মিশে নীরবে লুকায় দিগন্তের কোলাহল
রাত্রির নক্ষত্রের মতো চোখের পলকে ছুটে সীমাহীন স্বপ্নের পথে
অতীত স্মৃতি পাখির ডানায় বহে নদীর স্রোতের মতোই ।

তরঙ্গের ভাঁজে লুকায় ছায়া, নির্দ্বিধায় উড়ে অজানার পথে
মিশে শব্দ মেঘের কোলাহলে, সব শব্দহীন ক্রন্দন হয় অধরা স্বপ্নের ধ্বনি
কখনো ফিরে না সে, বিস্তীর্ণ আকাশের বুকে খুঁজে চলে সুখের ধাঁধা।

সে রঙিন আলো মিলায়  দিগন্তে, ধূসরিত হয় অতীত আবেশ
নিভৃতে ফিরে আপন ছায়ায়, আঁধারে বিলীন সে দূরে
পাখির ডানায় আবৃত বাতাস ঘূর্ণিত হয়ে ফিরে পার্শ্ব পাখির গায় ।

চাঁদের আলোয় ঝিলমিল ডানা, ডাক শুনে অজানা পথে
ছুটে চলে বিস্ময় ভরা চোখে, দূর অসীম সীমানায়
নির্জন রাতের শান্ত নদী, খেলে যায় জলের ঢেউয়ে
আকাশের বুকে আঁকে নীরব রেখা, তাচ্ছিল্য অবলীলায়।

বাতাসে ভাসে নীরব স্বর দিগন্তের ওপারে ঠিকানা কোথায়
ক্ষণিকের ঝরে অজানার পথে শূন্যতার দুয়ার
ক্ষণস্থায়ী অপরাজিত সে পাখি,নক্ষত্রের আলোয় ঝলমল করে
বাতাসে মেলে ডানা, নিস্তব্ধ রাত্রির ছায়া ভেঙে,
স্বপ্নের ডানায় ভাসিয়ে আনে কল্পলোকের গান।