হতাশা বিস্তৃত কতোগুলো অবয়ব
তীক্ষ্ণ দৃষ্টি নিশানা ভেদ করে অন্তর,
তৃষিত চোখ পায় সান্ত্বনা ভেবে সহমরমি,
উপশম হয় ব্যথা অন্যের তীব্র কোঁকানিতে।
যন্ত্রণার তলদেশ গোপন কোণ,
অস্থিরতা গড়ে তুলে কিছু স্বপ্ন
সাধনার অঙ্কুর, নিষ্কাশনের সূচনা,
আঁধারের মাঝে আলোর প্রথম রশ্মি।
গভীর অন্ধকার নিস্তব্ধ চারিপাশ
মুক্তির আশায় সদা জাগ্রত
হাত স্পর্শ করে যখন অন্য হাতকে,
একজোড়া হাত, বিশ্বস্ত জানায় আশ্বাস।
বিধ্বস্ত স্বপ্নের বুকে জমা দীর্ঘশ্বাস,
আশার রেখায় অঙ্কিত নতুন ছবি,
সম্ভবনার গাঁথা বুনে নতুন পথ,
শোকের ছায়া নেই, নেই নিরাশা।
অসীম কোলাহলে মিশে থাকে প্রেম,
স্বাধীনতার দিকে এগিয়ে ধীর পায়ে,
নীরবতার গান গায় শব্দের সুরে
মুষ্টিমুক্ত হাত, শেখায় জীবনের গতি।
আনন্দের স্পন্দন, ক্ষণস্থায়ী নয়,
নির্ভীক হাতে গড়ে ইতিহাস নতুন
বহমান সময়ের সামঞ্জস্য বেঁধে,
অপরের পাশে দাঁড়ায় চিরন্তন।
শব্দের নিঃশ্বাসে জেগে ওঠে সুর,
কবিতার কব্জায় বাঁধা নতুন গাথা,
মুষ্টিমুক্ত হাত যখন জোড়ায় সৃষ্টিতে,
নব জাগরণের বার্তা চারপাশে।
হাত, এই অস্তিত্ব, সংকল্পের চিহ্ন,
পিছনে ফেলে অতীতের আঘাত
সুখের সুরে নাচে মুক্তির পথ
খুঁজে পায় শান্তির আমোদ।
সাহসী হৃদয়, শক্তিশালী বাহু,
বিধ্বস্ত মাঝে দাঁড়িয়ে থাকে,
একজোড়া হাত, স্বপ্নের গর্ভে লুকিয়ে,
গড়ে তোলে ভবিষ্যতের আলো।
আবদ্ধ সীমানায় নির্দিষ্ট নিজস্ব স্থান,
মুষ্টিমুক্ত হাত দেয় নিরন্তর অভয়,
মস্তিষ্ক জুড়ে ঘূর্ণায়মান পূর্বস্মৃতি,
অপেক্ষা কতক্ষণে লভিব মুক্তির স্বাদ।