কাশফুলের মাঠ, শরতের হাওয়া এসে ছুঁয়ে যায় গা। বাতাসে দুলে নেচে ওঠে সাদা তুলোর মতোন ফুলগুলো, যেন প্রতিটা গাছের ডালে মেঘের টুকরো বসে আছে। সন্ধ্যার আলো পড়তেই কাশফুল আরও উজ্জ্বল হয়ে ওঠে, সেই আলোতে মিশে যায় নরম ছায়া।
এই নরমতা—এটা ঠিক ধরতে পারি না, হাত বাড়ালেই যেন মিলিয়ে যায়। কাশফুলের এই সাতসা, যেন মায়ের হাতের নরম পরশ, শিশুর হাসির মতো। সবকিছু থেমে যায় একটু, প্রকৃতি হিম হয়ে থাকে, শুধু কাশফুলের দোলাই মনে করিয়ে দেয়—সব কিছু কেমন সুন্দর হতে পারে।
নদীর ধারে দাঁড়িয়ে, মনে হয় কাশফুলগুলো কথা বলে, বাতাসের ছোঁয়ায় যেন তারা এক মধুর সুরে গান গায়। সেই গান শুনতে শুনতেই শরৎ কেটে যায়। কাশফুলের এই সাতসা—এই নরম সৌন্দর্য, মনে দীর্ঘদিনের জমে থাকা ক্লান্তি মুছে দেয়, যেন নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখায়।
শরৎ আসে, চলে যায়, কিন্তু কাশফুলের এই সাতসা থেকে যায় হৃদয়ের গভীরে, এক মিষ্টি স্মৃতি হয়ে।