সহজিয়া মকরক্রান্তি ধর্মিষ্ঠা সাধনায় সিদ্ধি,
বাহুর বল আয়ত্তে ধরিত্রী স্থিরে নির্বাণ।
পুত্র দৌহিত্র কাঙ্ক্ষিত প্রজন্ম বিস্তার,
প্রকৃতির পাতায় যোগ বিয়োগ মিশ্রিত শূন্য।
আশার স্রোতে ভেসে যায় নিদ্রাহীন দিন,
কল্পনার ডানায় উড়ে অজানার দিকে
চিরচেনা জগতের নীড় বুনে স্বপ্ন,
স্মৃতির পুতুল ভাসে করতোয়া নদীর তীরে।
বাতাসের গন্ধ মিলায় অতিক্রান্ত রাত,
নক্ষত্রের আলোয় চমকে উঠে অনন্ত প্রান্তর
পদক্ষেপে গল্পের সুর গান হয়ে ফুটে,
হৃদয়ের আহ্বান খুঁজে নির্লিপ্ত দীপ্তি ।
আলোর দ্যুতি হয় পথের দিশারি,
ঘূর্ণিচক্রে বাঁধা অনন্তের পথ
প্রশ্নের তীরে উক্তি-বাণী, হেঁটে যায়
চেতনা আছড়ে পরে সাম্যের চাহিদায়।
সৃষ্টি ও বিনাশের যাত্রা চক্রের ভিতর,
প্রেমের ছোঁয়া, ঘূর্ণন সৃষ্টির প্রেরণা
অস্থির চক্রে আটক সব কষ্টের সীমা
অন্ধকারের বৃত্ত, ঘূর্ণিচক্রে আবদ্ধ বাস্তব ।
শূন্যতার বুকে ফুটে ওঠে সম্ভাবনার বীজ,
শুধু ঘূর্ণনের জালে প্যাঁচানো অস্তিত্ব নয়
প্রতিটি পদক্ষেপ ইতিহাসের জন্ম
বিষণ্ণতা অতিক্রম জন্মে সম্ভাবনার আলো ।
অর্থহীনতায় গাঢ় শূন্যতা নিবন্ধিত করে
স্বপ্নেরা ঘূর্ণিচক্রের শঙ্খ সযত্নে রাখে
দিগন্তের হাহাকার, অস্তিত্বে সন্ধান
ঘূর্ণিচক্রে নিহিত চিরন্তন প্রেরণা।
সে মোহ ঘূর্ণিচক্র দিয়েছি বিসর্জন,
অর্ধনিমীলিত চোখ নির্দ্বিধায় বুজে যাবে বিলীন সময়।
বৌদ্ধিক সিদ্ধান্তে অস্তিত্ব করেছে নির্ভেজাল,
প্রাপ্তির খাতায় নেই অপ্রাপ্তির হিসেব।