ক্ষোভে জ্বলছি পরিণত হচ্ছি অগ্নি কুণ্ডলী,
উদ্যত ঘনকালো ধোঁয়া ঘূর্ণিরত ঊর্ধ্বাকাশ
বিস্তৃত হৃদয় সত্তা - সমস্ত নভোমণ্ডল,
গ্রাস করছে পরমাণুর জটিল ব্যবচ্ছেদ পর্যন্ত
সমন্বিত ভারে অস্থির - উপস্থিত ধ্বংসের মোহনায়,
ঘটবে নিশ্চিত অনল-কুন্ডুলির বিস্ফোরণ।
নীরবতাকে ভেঙে চাপা কান্নার রুক্ষ স্বর,
অসীমের গভীরে ক্রমশ ফুটে ক্ষোভের রক্ত।
অর্থহীনতার জালে বাঁধা, স্থির আবদ্ধ সময়,
বিচ্ছিন্নতার মন্ত্রে গাইছে বেদনা বিধুর সুর ।
মৃত্তিকার বুকে নৃত্য করে বিষাক্ত উল্লাস,
আশার আলো হারিয়ে যায় অন্ধকারের পথে।
অসীম থেকে ধেয়ে আসে ক্রুদ্ধ বাতাসের গর্জন,
জন্ম নেয় নতুন অভিশাপ, গলিত গহ্বরের কণ্ঠস্বর।
পেছনের স্মৃতিতে সীমাবদ্ধ নৃতাত্ত্বিক পরিচয়,
ত্রাসের রাজ্যে ধ্বংসের পরশ দগ্ধ হয় প্রত্যেকে।
নীরবতার দ্বীপে সমুদ্রের ঢেউ খেলা করে,
মগ্ন ভয়ঙ্কর নির্জনতায়, সময় গড়িয়ে যায়।
অক্ষিগোলকে দেখা দেয় বিষাক্ত মানবতা,
যুদ্ধের দামামা, মৃত্তিকা কাঁপে শূন্যতায়।
শুনতে পাচ্ছি চিৎকার, ছিন্ন ভ্রান্তির উদয়,
বাঁচার যুদ্ধে নিভৃতে উদ্ভাসিত হয় আদর্শের ছায়া।
অতীতের চিরন্তন আঁচড়, রক্তাক্ত স্বপ্নের অধিকার,
নতুনত্বের আশায় সজাগ যাপিত শামুক ।
ঘনকালো ধোঁয়ায় চাপা পড়ে নৈতিকতা,
বিবর্ণ প্রহেলিকা, অস্তিত্বের সঙ্কট।
ভাঙছে বিশ্বাসের দেয়াল, আঁকড়ে ধরে অস্তিত্ব,
মানবতা ডুবছে গহ্বরের অন্ধকারে,
ঘনকালো ধোঁয়ার ছায়া, জেগে ওঠে প্রত্যাশা,
হৃদয়ের কণ্ঠে বাজতে থাকে একটি নতুন ঊর্মি।
কষ্টের বাস্তবতা থেকে মুক্তির পথ চেয়েছি,
অভিব্যক্তির দারুণ ছোঁয়ায় গড়ে উঠে গাঢ় রঙ।
সময়ের ক্ষয়িষ্ণু চক্রে উত্তরণের সিঁড়ি,
নিহিত থাকুক নবসূর্যের আবাহন।
ক্ষোভের আগুনে যখন পুড়ে যায় সবকিছু,
ঘনকালো ধোঁয়ায় জন্মাবে মানবতার রাঙা প্রভাত ।