বাংলা মা, তুমি শুনতে পাও আর্তনাদ
আমার চিৎকার, কি করে শুনবে তুমি
যখন গায়ের সমস্ত- রক্ত চুষে খায় তারই বিমাতা র ভাই
পিতা মাতার সামনেই সম্ভ্রম হারাতে হয় মেয়ের
যখন তোমার পঙ্গু সন্তানের অবহেলায় অযত্নে অনাহার ধুকে ধুকে মরছে।
চিন্তা করো না মা
মৃত্যুর পর তোমার বুকে আলিঙ্গনের সময়
তারা পাচ্ছে জাতীয় সম্মান।
তুমি কেন স্তব্ধ মা,
চেয়ে চেয়ে দেখ দস্যুদের অরাজকতা
তবুও তোমার বুকে রোজ ভোর হয়
সূর্য উঠে পাখিরা কিচিরমিচির করে
একি নিষ্ঠুর তোমার আচরণ।
বাংলা মা, তোমার স্তন্য খেয়ে যারা বাঁচে
যৌবন প্রাপ্ত সেই সন্তান আজ তোমার স্তনের অন্য অর্থ খুঁজে
নরপশুরা আজ তোমারই সাথে ব্যভিচারে লিপ্ত
যেখানে তোমায় বীর শ্রেষ্ঠ সন্তানেরা ঘুমায়
তাদের সেখানে ঠাঁই দিও না
তাড়িয়ে দাও অভিশাপ দাও
বর্বর ওই মাতৃ দালানের।
বাংলা মা, তুমি শুনতে পাও আর্তনাদ
আমার চিৎকার ।
ক্ষুদ্র কণ্ঠের আওয়াজ তুমি শুনবে না
কিভাবে শুনবে, তবুও শোন
তোমার বুকে দাঁড়িয়ে অন্যায়ের প্রতিবাদ করাও অন্যায়
সবাই সমাজ কর্মী দুঃস্থের সেবা করে
তোমার গায়ে পেরেক গেঁথে ব্যানার লাগিয়ে রাখে
আমরা খাঁটি
সত্যের সন্ধানে কেউ ছুটে না।
বাংলা মা, ওরা বেশ্যা দলের
একই বিছানায় নানান জনের সাথে সঙ্গ দেয়
এক মুখে হাজার রকমের কথা
খদ্দের দেখে পাল্টিয়ে নেয় নিজেদের পোষাক।
বাংলা মা, ওরা তোমার কুসন্তান
আমার সন্দেহ হয় তোমার রক্তই কি বইছে ওদের শরীরে
নাকি, ওরা নর্দমার কীট থেকে তৈরি
তুমি বল মা, ওরা তোমার সন্তান নয়
ওদের শরীরে বইছে পশুর রক্ত
জানোয়ার তুল্য হিংস্র
নিজ গোত্রে রক্ত চুষে খায়।
বাংলা মা, তোমার ভ্রষ্ট সন্তানেরা
রক্ত রঙ্গিন খুনের নেশায় উন্মত্ত
তারা লাল পতাকা কে অপমান করে
জানোয়ার চাটে জানোয়ারের রক্ত
নিজের তৃপ্তি মেটাতে ।
বাংলা মা, তুমি আমায় ক্ষমা কর
পারিনি আমি তোমার কথা রাখতে
তোমার বুকে যারা কুড়াল মারে
রক্তাক্ত করে বুকের পাঁজর গুনে
পারিনি তাদের সর্বনাশ লিখতে ॥