‌গ্রামের সরলতার স্বাদ
এ শহরটা জুড়ে নেই,
কি অদ্ভুত এক মায়া
আটকে থাকে পুরু দেহে.....!!!

তবুও জীবিকার রাক্ষসের রাজ্যে
সবাইকে হানা দিতে হয়,
সশস্ত্র হোক বা নিরস্ত্র
শুধু সাহসটাকে লালন করে.....!!!

এই শহরে মাথা গুজাবার ঠাইটাও
যুদ্ধের চেয়ে কম কিসে?!
বিবাহিত, অবিবাহিত, ভদ্রতার পরীক্ষা
গুনতে হবে ভাড়া মাসের প্রথমে দিতে.....!!!

এতো তিক্ততার শহরেও ঠাই হয়
নিজের একটি ঠিকানা, একটি অস্তিত্ব,
শিকড় গজাতে শুরু করে
অনেক লালিত স্বপ্নের দানাটি.....!!!

রুক্ষ শহরটার বিষন্নতা কেটে যায়
স্বপ্নের মায়ায় ভরা ছোট রাজ্যে এলে,
আপনি জানেন আপনি রাজা নন
তবুও কর্তৃত্ব আর স্বাধীনতা এখানে চলে.....!!!

শোবার ঘরটার ছাদটায় গিয়ে ঠেকে
তোমার ভালোবাসার চিরকুট গুলো,
তোমার অভিমান গুলো
ফ্রেমে বন্দী হয় দেয়াল জুড়ে.....!!!

বাবুর ঘরটায় প্রশ্নে গদগদ,
বাবা তুমি এই, বাবা তুমি এমন?
আর দেয়ালটায় অপরিণত স্বপ্নেরা,
যা আবার বেঁচে উঠার সাহস.....!!!

বসার ঘরটায় যত্নরা রীতিমত প্রতিযোগীতায়,
যেন সৌন্দর্য তোমার পা ছুঁ,
আমার স্বামর্থ্য হলে খুলে দিবো
নিউমার্কেটে "স্বাধ্যের মধ্যে সুখ" নামে দোকান.....!!!

খাবার ঘরটা হলো আমার বিষ।
অভিযোগ, অসামর্থ্য, অভাব আর দীর্ঘশ্বাস
এ শব্দ গুলোর কাছে মনে হয়
এক কাপুরুষ চিত্ত পরাজিত সৈনিক.....!!!

বারান্দাটা হলো আমাদের ডাকঘর,
যেখানে দু'কাপ চায়ে স্বপ্ন পাঠানো যায়।
আকাশের একাউন্টে জমা থাকে
অজস্র স্বপ্নেরা মিটিমিটি তারা হয়ে.....!!!

একদিন রাক্ষসের [কোভিড-১৯] হানা আসে,
শহর জুড়ে, বিশ্ব জুড়ে।
কেড়ে নিলো প্রাণ, কেড়ে নিলো জীবিকা,
ফিরে যেতে হলো শহর ছেড়ে গ্রামে.....!!!

শহরের প্রাসাদে আটকে গেলো আবার,
"বাসা ভাড়া হবে"
দুই বেড, ড্রয়িং, ডাইনিং,
দুটি টয়লেট আর একটি বারান্দা সহ.....

ভাড়াটিয়ার ফেলে যাওয়া আসবাবপত্র
আর ধুলো পরা অজস্র স্বপ্ন গুলো.....!!!