আজকে আমার ছুটির দিন, বিছানা বালিশ দিচ্ছে নিন
ঘরবাড়ি সব ফাঁকা ।
সবাই গেছে যে যার কাজে আমিই শুধু আমার মাঝে
দুলছি একা একা।
শীতের সকাল আলোর ঢল, স্বচ্ছ আকাশ বাতাস নিটোল
ভিজছে রোদে বারান্দাটাও।
ঝরছে গাছের বুড়ো পাতা, ঘুরছে মনে ভাব কবিতা
“সঙ্গীবিহীন জীবন নাও”।
হঠাত যেন বিষম খেলা্ম, ধরায় ধরাস ফিরে এলাম
ধুত্তরি ছাই কি সব ভাবি
বাড়ছে বেলা সকাল থেকে আর না এখন কল্পলোকে
মেটাই আগে পেটের দাবি
নাস্তাটাতো খেয়ে নেই, ভুখ লেগেছে এমনিতেই
পালটে যাবে মনের ভাব
নিলাম থালায় ভাজি রুটি, চলবে এতেই মোটামুটি
থাকলে সাথে চায়ের কাপ
বারান্দাটার বেঞ্চে বসে, খাচ্ছি ভাজি মুখ ঠেসে
আউলা মন হেসেই কুটি
মন মনুয়া অন্য তালে, ভাজিই খেলাম বেখেয়ালে
যায়নি পেটে কোনই রুটি।
রুটির থালা বেবাক ভরা, বাটির ভাজি শুন্য সারা
কাপের চা ঠান্ডা প্রায়
আবার কোন ছন্দে পেলো, খাবার খেয়াল এলোমেলো
সকাল শেষে দুপুর দাড়ায়।
হাসছি নিজেই মিটি মিটি, এমন ভোলা ছেলের জুটি
মেলানো কি সহজ অতি।
তাইতো হতাশ বড় আপা, ক্যামনে যে ঘুচবে ঢ্যাঁপা
“তোর কপালের দুর্গতি”!