সকাল থেকেই বাকবিতন্ডা, মেজাজ ভালো না
মুখ বেচারা গোমরা-মুখো, নেয়নি পেটে দানা
তাহার দাবী আমিই খাওয়াই, সব জাতীয় অন্ন,
সেই কারনেই শক্তি পেয়ে, তোমরা সবাই ধন্য।
আমিই যদি না হই বস, বসটা হবে কে?
তোদের কাছে প্রশ্ন আমার, খাটি জবাব দে।
তড়াত করে লাফিয়ে উঠে, মেজাজ গরম মাথা।
চুপ থাকো হে বড়মুখো, বলছ কি সব যাতা
মাথার মধ্যে মগজ মণি, কত কিমৎ রাখে
রাজার ন্যায় শাসিয়ে বেড়ায়, বিশাল দেহ টাকে
হস্ত দ্বয়ের মেজাজ চটা, কয় কি মাথামোটা!
বস হতে চাও থাকতে আমি? হবে নাতো সেটা।
আমি যদি কাজ না করি , কাদের কামাই খাবি
না খেয়ে তো পটাস পটল, এমনি মারা যাবি
হাসছে পা, তোদের দেখি নাইকো কোনই ডর
সব শালারা মাফি মাংগ, আমায় জাপটে ধর
থমকে আমি দাড়াই যদি, ক্যামনে কোথা যাবি
আমায় লিডার মানতে হবে, নইলে লাত্থি খাবি
এতসব হট্টগোলে গুহ্যবাবু, ছিল চুপটি মেরে
বুকে খানিক সাহস নিয়ে, দাঁড়ায় করজোড়ে
“নেতা হবার বহুত খায়েস, শেষ ইচ্ছা ভাই
সুপ্রিয় সব সহকর্মিরা, আশির্বাদ যে চাই”।
সব সাথীরা হেসে মরে, কাদায় দিল গড়াগড়ি
মলদ্বার মিঁয়া ফুঁসলো রাগে, খিড়কি বন্ধ করি।
“হাসছো হেলায় দাম দিলে না, আমি তুচ্ছ তাই,
আটলাম ছিপি টেরটা পাবে, ঘুমোতে আমি যাই।“
মলত্যাগ বন্ধ গ্যাস ট্রাপে, পেঁট পটকা ফেঁপে
সারা বদন হলুদ বরণ,উদর ভয়ে কাঁপে।
মগজ বিকল, নেতিয়ে গেছে হাত পায়েরা সব
বাড়ছে বুকের ধরপরানি, হায় হোসেনি রব
হামবড়া ভাব ছেড়ে দিল, রনে দিল সব ভঙ্গ
গুহ্যবাবু লিডার হলো, বাঁচলো সকল অঙ্গ ।
এই কবিতার সার মর্ম, মুল নীতি কথা
যে কেউ নেতা হতে পারে, লাগে না বড় মাথা।