একা একা বেশ ছিলাম ছিল কম চাওয়া
মনের বৃন্দাবনে ছিল ফ্রেশ ফুরফুরে হাওয়া
গৃহিণীর হাঁড়ি মুখে শুধু শুনি নাই আর নাই
পড়শির আছে মেলা, হাড়ি হাড়ি আমাদেরও চাই
“পারিব না” কথাটি আলবৎ বলিবে না আর
চাকুরীর বেতনে না হলে ধর উপরি কারবার”।
আমি বলি,” উপরে নয় গো বধু নীচ দিকে চাও
গড্ডালিকার প্রবাহে শুধু শুধু ভাসাইও না নাও  
কত কিছু ছাড়া চলে সদানন্দ অবিনাশ কাকা
বেশুমার সুখের সংসার তার হাসিখুশি মাখা
চাকুরী  তো  সমমান,বাসা ভাড়া  বেতনও সমান
ছেলে মেয়ে বউ শালা নিয়ে থাকে ছিমছাম
দেখলেই মনে হয় সার্থক জীবন চলমান সুখ
দু’ দন্ড কথার পরশেই মোর ভরে দ্যায় বুক”।  

কথায় ভিজলো না গিন্নীর চিড়ে হলো যা হবার
অগত্যা পিত্তনাশ, দ্বারস্থ হলাম উপরি পাওনার
আসিলো অর্থ সামাজিক যশ আপাত: প্রশান্তি
বাড়িলো টেনশন মানসিক বাড়িলো বিভ্রান্তি
খুনসুটি লাগলেই বধু সৌদামনি টিপ্পনী কাটে
ঘুষখোর, জোচ্চর,হাড়ি কিন্তু ভেঙ্গে দেবো হাটে!”  
'একি শুনি! যার তরে  করি চুরি  সেই  বলে  চোর
রাত জেগে কাটি সিঁদ সেই কিনা খুরে মোর গোর"।


পরশ্রীকাতরতা, চাই চাই প্রবনতা ব্যাধি সামাজিক
সঠিক পথের মানুষ হারায় দিশা হাঁটে নির্ঘাত বেঠিক