ভালোবাসার জন্য ছুটেছি
সুদূর মরুময় প্রান্তর।
গড়েছি প্রেমারণ্য
তুলেছি বিষাদময় যত যুগান্তর।
তবুও, সমাজ নামক হীনমন্যতার
জ্বলন্ত চুল্লী- পরিবার নামক জ্বলন্ত শিখা
ভালোবাসায় গড়া সপ্তদশ আশ্চার্য এক নিমিষেই
গ্রাস করে নিল এবং,
রচিত আর একটি অদেখা।
আমি কেঁদেছি, অঝড়ে কেঁদেছি
আর ক্ষণে ক্ষণে কেঁদেছি,
কেঁদেছি, নজরুল- নার্গিসের ভালোবাসা দেখে
আমি হয়তো লিখতে পারিনি সেই অশ্রুমাখা-
ঐতিহাসিক চিঠি। দিতে পারিনি তাকে উৎসর্গ করা
একখানা কাব্য। কিন্তু আমি ভালোবেসেছি এবং বেসে যাব যুগান্তুর।
আমি দেখেছি রবি ঠাকুর আর কাদম্বরীর প্রেম।
যার হাতে রচিত গীতোচ্ছ্বাস, কত মহান তার প্রেম।
অমি হয়তো দিতে পারিনি-
আট রাজত্বের জমিদারী।
হয়তো লিখতে পারিনি শেষের কবিতা।
কিন্তু ভালোবেসেছি এবং বেচেঁ থাকবে আমরণ।
আমি কেঁদেছি, অঝড়ে কেঁদেছি
আর ক্ষণে ক্ষণে কেঁদেছি,
তার চলে যাওয়া নিয়ে নয়, তার জীর্ণতার জীবনে,
আমার অপারগতার জন্য। অসম্পূর্ণতার জন্য।
তার ভালোবাসায় আমি বিচরণ করেছি, দেখেছি-
সেখানে ছিলনা বিন্দু মাত্র লেশ, ক্রোধ, অভিমান।
ক্ষমা চাইবনা, শুধু ভালোবাসায় ভালোবাসা বাঁচিয়ে রাখব।
জানি, অপূর্ণতা কখনোই আর পূরণ হবে না।
জানি, তার অশ্রুজল আর আমার হৃদয় ভেজাবে না।
জানি, হারায় নি সে।
শুধু আমার অপেক্ষার ভার টুকু বৃদ্ধি বটে।
আবারো সেই কাঠাঁল তলে আসবো।
আবারো ভাসবো গাঙ্গের জলে নাউ নিয়ে।
তখন সমাজ, পরিবার, পরিজন
সবকিছু পিছে রেখে।
আমার পদ্মাবতী, ওগো প্রিয়তম-
আজ তবে হোক ক্ষণিকের-
বিদায়! বিদায়!! বিদায়!!!