এই তোমার চোখে কী কোনো জল আছে?
আমার অনেক আছে
চাইলে তুমি নিতে পারো
আমার আছে এক সাগরের চেয়েও বেশি
তবে তোমাকে দেবনা
এ যে বহন করা কঠিন
এ জল হৃদয় নিংরে প্রবাহিত হয়
যার কোনো শেষ নেই।
এই তুমি কী হৃদয় ছেড়া কোনো বাণী শুনতে চাও?
চাইলে শুনতে পারো
তবে তোমাকে শুনাবো না
হয়তো তুমি সহ্য করতে পারবে না
এ যে হৃদয় ছেড়া আর্তনাত
এ বাণী পাহাড় ভাঙ্গার শব্দ
যার কোনো শেষ নেই।
এই তুমি কী একটি কবিতা চাও?
চাইলে নিতে পারো
তবে তুমি এর শব্দগুলো পড়ে সহ্য করতে পারবে না
এ যে অন্তহীন কোনো আকুতির পংক্তি
এখানে কলমের প্রতিটি খোঁচায় রয়েছে
হৃদয়ের অবারিত রক্ত ক্ষরণ
যার কোনো শেষ নেই।
এভাবে তুমি আমার কাছে চাইতে পারো
সীমাহীন বেধনা আর কষ্ট
কিংবা এক পাহাড় সমান দাবানল
তবে তোমাকে দেবনা, তুমি সইতে পারবে না
আমার বেলায়ই থাক,
আমি তো চৈত্রির খড়ায় পোড়া শুকনো পাতা
বাতাসের তোপে এপাশ ও পাশ উড়ছি অবহেলায়।
তুমি বহমান নদীর কুল ভাঙ্গন দেখতে চাইলে আমাকে দেখ
আমার হৃদয়কুল ভাটার খড়স্রোতে ভেঙ্গে চলেছে নিরবধি
তবে তুমি এর কুলে এসনা
উজানের স্রোত সইতে পারবেনা।
তুমি চৈত্রি দুপুরে কোনো পিপাষিত পথিকের রূপ দেখতে চাও?
তবে আমায় দেখ, আমি তো না পাওয়া প্রেমের খড়ায় পিত্তরসে শুক্ত
তবে জল দিতে যেওনা, আমি তো মৃত বৃক্ষ
অযথা জলদানে কাঠের ক্ষতি করে কী লাভ বল?