আজ ঈদ! বড় আনন্দের দিন
মনে পড়ে খুব
অনেক আগ থেকেই বলা আছে
যে দিব ঈদ আসবে
ঘরে বসে থাকা যাবেনা মনি, ননি আরা মায়ারে
বুড়ো কাইতের একটি কথাই ছিল
“যে যত বেশি দুয়রে যাবি
তত বেশি বেশি গোশত পাবি
বেশি আনলে বেশি খাইতে পারবি
আমার কিন্তু তফিক টফিক নাই
কিইন্না খাওয়াইতে পারমুনা
আইজ কোরবানির দিন যা খাইতে পারছ
দুলবার লগে মোখ মুইছ্যা রাখবি।’’
যেই কথা সেই কাজ-
কাইতের দেয়া তিনটি পলিথিন আর তিন নাতনী
একজন একেক পাড়ায়
কাইতের বউ বুড়িটি আগের মত চলতে পারে না
তার পালা হল পাশের কয়টি বাড়ি
‘‘আইজ একটি বছরের দিন যা পারোগো দেও
আল্লায় (আল্লাহ) তোমাগোরে অনেক তফিক দিছে
আরো দিবে।’’
আহা! এ বাড়ির ও বাড়ির দু’এক টুকরা গোশ্ত পেয়ে
চোখে মুখে কী আহ্লাদি!
বুড়োর হাট ঝাড়ুর বিনিময়ে পাওয়া মশলাটুকু
খুব যত্ন করে রাখা হয়েছিল
তা দিয়ে গোশ্ত রান্না করা হয়েছিল
আহা! কী তৃপ্তি এক বছর পর গোশ্ত পেয়ে
“ও বুড়ি আর একটু গোশ্ত দেনা বড় ভালো লাগে”
“আর খাওন লাগবো না, একটু থাকলে কাইল খাইও
নাতিন গুলারে একটু খাওয়াই”
আচ্ছা তাই হোক, তাই হোক
কে জানে! বুড়িও তো জানতো না
শেষ তৃপ্তিটা যে রয়েই যাবে!