(১)
বাবুই পাখির ছানা
দুলছে বাবুই তালের ডালে
বুনছে কাঁচা বাসা
ধান কেঁটে নেয় দুষ্টু বাবুই
তাড়াচ্ছে তাকে চাষা

জাল পেতেছে চাষার ছেলে
আটকে বাবুইর ডানা
বাসায় বসে কাঁদছে একা
বাবুই পাখির ছানা।

(২)
ব্যাঙের ছানা
পুকুর পাড়ে জলের ধারে
সোনা ব্যাঙের বাড়ি
ব্যাঙের ছানা বড়ই পাঁজি
করত আড়াআড়ি।

ব্যাঙের মা ডেকে বলে,  
শুনো ওগো ছানা
পুকুর পাড়ে জলের ধারে
যেতে তোমার মানা।

শুনলনা সে ব্যাঙের ছানা
গেলই সেথায় পড়ে
ডোরা সাপটি অমনি ছানাটি
খপাস করে ধরে।

ধরা পড়ে ব্যাঙের ছানা
কাঁদে ঘ্যাঙর ঘ্যাঙ
ব্যাঙের মা ডেকে বলে
সেথায় গেলি ক্যান?

(৩)
বর্ষা এলো
বর্ষা এলো বানের জলে
খাল-বিল থই থই
খোকা-খুকি হোচট খেলো
উড়লো ছাতা ওই।

দিন পোহালো হাঁসের ছানা
আসছে নাতো ঘরে
খুকি গেলো পুকুর পাড়ে
ডেকে আনতে তারে।

দুষ্ট ছানা দৌঁড়ে পালায়
জলে দিয়ে ডুব
খুকি গেল ঘরে চলে
বৃষ্টি আসছে খুব।

(৪)
বুবুর বিয়ে
ছুটছে খোকা ঘোড়া রঙিন ঘোড়ায়
চাবুক হাতে নিয়ে
পথ ছেড়ে দাও যেতে হবে
আজকে বুবুর বিয়ে।

ঘোড়ায় চড়ে আসছে দুলা
পাগড়ি মাথায় পরে
বুবুর মুখে লাজুক হাসি
যাবে দুলার ঘরে।

(৫)
কাজল বধু
কলসি কাকে পুকুর ঘাটে
জল আনতে যায় কে
এই যে ঘোমটা পড়া
কাজল বধু যে।

লাজে ভরা কাজল বধু
লাজে ভরা হাসি
ঢেউয়ের সাথে কলসি খানা
জলে গেল ভাসি।

কাঁদছে বধু ঘাটে বসে
সূ্য্যি গেছে পাটে
আর কতক্ষন থাকবে বধু
একলা বসে ঘাটে।

(৬)
রঙিন ঘুড়ি
রঙিন ঘুড়ি সারি সারি
উড়ছে আকাশ নিলে
একটি দু’টি ঘুড়ি এসে
এ পাশ ওপাশ মিলে।

ছিড়ে গেল ঘুড়ির সুঁতা
উড়ছে অচিন দেশে
ছুটছে খোকা ঘুড়ির পিছে
পথ হারালো শেষে।