ঝল্টু দাদার মোটি বৌ,
বসে শুঁয়ে খায়।
ঠিক মত খাবার না দিলে,
দাদার মাথা থাপড়ায়।
ঝল্টু দাদা অতি কষ্টে,
বানায় একটি বাড়ী।
মোটি বৌদির প্রতি মাসে,
চাই নতুন শাড়ি।
ঝল্টু দাদা হাড় কিপটা,
সদা করে কৃপণতা।
বৌদি হল উদার মনের,
পান খায় মিষ্টি পাতা।
ঝল্টু দাদা বাজার গেলে,
ব্যাগটা এবার ধরো,
সব্জি নিবে মাংস নিবে,
মাছটা নিবে বড়ো।
বৌদি রাতে ঘুরতে যায়,
দাদা থাকে বাড়ী।
কোন কথা বললে দাদা,
টানে মুখের দাড়ি।
দাদা যখন গঞ্জে যায়,
বৌদি বলে ওগো,
গঞ্জ থেকে মিষ্টি এনো,
নইলে ভাত নাহি দিবো।
ঝল্টু দাদা বৌয়ের কাছে,
সদা থাকে চুপচাপ,
কোন কথা বলতে গেলেই,
ডাকবো মোর বাপ।
পুলিশ, আইন, কোট-কাছারি,
সবাই মেয়ের কথা ধরে।
বেশি কথা বললে তোমায়,
দিবো জেলখানাতে ভরে।
ঝল্টু দাদা বিড়াল হয়ে,
ম্যাও ম্যাও করে।
বৌদি খলি ডাট করে,
পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে।
ঝল্টু দাদা কামাই করে,
খেটে দিন রাত,
মোটি বৌদি খরচ করে,
খুলা তার হাত।
দাদা বৌদি টিভি দেখে,
ঘরের কোণে বসে,
রিমোট নিয়ে কাড়াকাড়ি,
আমি মরি হেসে হেসে।
দাদা বলে নিরব স্বরে,
দাওনা রিমোট খবরটা শুনি,
চোখ পাকিয়ে বৌদি বলে,
চলছে প্রিয় সিরিয়াল খানি।
ঝল্টু দাদা পা গুটিয়ে,
বিছানাতে ঘুমিয়ে যায়।
টিভি শেষে মোটি বৌদি,
দাদার পিঠ জাবড়ায়।
ঝল্টু দাদা ঘুমের তালে,
এবার হকচকিয়ে উঠে।
বৌদি বলে শরীর ব্যথা,
মালিশ করে দাও পিঠে।
ঝল্টু দাদা মালিশ করে,
মোটি বৌদির গায়,
দাদার কিছু করার নেই,
শুধু করে হায় হায়।
ঝল্টু দাদা ভয়ে বলে,
আমি তোমার স্বামী!
বৌদি বলে এজগতে সুখটাই,
স্বামীর চেয়ে দামী।
......... *** ............