সুপ্রভাত হইয়াছে ধরণীর তটে,
নব দিবার আহ্লাদে মন মোর ছুটে।
শরতের শিঁশির কণা ফুঁটিয়া আছে ঘাসে ঘাসে,
স্বর্ণালিকা আভায় রবি উঠিয়াছে হেসেহেসে।

পূবেল হাওয়ায় মোর গা করিছে শির শির,
পূব আকাশে পড়ীরা হাসিয়া হাসিয়া খেলছে আবির।
গোলাপ, শিউলি, শেফালিতে বাগিচা ভরিয়াছে ফুলে ফুলে,
কাশবনে কাশফুল বিধাতাকে প্রণাম করিছে দুলে দুলে।

কোয়েলের কুহু তানে হৃদয়ে উঠিছে মোর নব সুর,
কোন বাদ্যযন্ত্র নয় যেন এক অপ্সরার পায়ের নূপুর।
মধুর টানে প্রজাপতি ছুটিয়াছে, উড়িতেছে পাখিদের ঝাক,
শুনিতে পাইয়াছি পাখির কূজন আর মোরগের ডাক।

মসজিদের আজান শুনিয়া শান্ত হইয়াছে আসমান জমিন,
প্রভাতের আগমনেই নামাজে ছুটিয়াছে সকল মমিন।
মন্দিরে সুমধুর ঘণ্টা বাজিয়াছে ঢং ঢং ,
সুরে সুর মিলাইয়া সবাই গাইছে ভজন।

মধুর কন্ঠে ভালোবাসার ছন্দে ডাকিলো মোর মা,
নামাজ শেষে উঠিয়া দেখি মাতৃহস্তে ভোরের গরম চা।
রঙ্গীন জগৎটারে দেখাইছে যে মা তারে কভু দিবো না আঘাত,
এমনি কোরেই সারা জীবন আসুক মোর সুপ্রভাত।


             ............... **...............