ওগো বাদলের মেয়ে,
তোমার তরী কি ভাসালে আজ নতুন গগন বেয়ে?
নদীর উচ্ছ্বাস কেঁদে চলে—
তোমার বিদায়-মুহূর্ত জলে,
কাশবনের শিহরিত ঢেউ স্মৃতির কথা বলে।
তোমার চরণ-ধ্বনি,
শিহরিত পথের বুকে রেখে গেলে ব্যথার রাগিণী।
বকুলের ছায়া কাঁদে আজ,
বাতাসে দুলে বিষণ্ন সাজ,
স্রোতের কল্লোলে গুনগুনিয়ে ওঠে বিদায়ের বাণী।
সেই দূর হিম-পর্বতে,
পাবে কি বাতাস মেঘের গন্ধে সিক্ত হয়ে?
সেথা কি জাগে মেঘলা দুপুর,
বাদল-মাখা শ্রাবণ সুদূর,
নাকি শুভ্রতায় হারাবে ব্যথার কাঁপন রোয়ে?
তুমি রবে ধ্যান-মগ্না,
শূন্য আকাশের বুকে বুনে নীরবতার কাব্য।
এখানে বরষা কাঁদবে বুকে,
তোমার পথের সোনার বুকে,
ফিরে আসবে কি একদিন—ভাসিয়ে সজল অভ্যর্থনা?