সবে মাত্র তো পয়ত্রিশ,
চল্লিশের বহুত দেরি!
এরই মাঝে বিধাতার ডাকে
সাড়া দিতে হবে!
আসলে কখন যে কার
ডাক আসবে
কেবল ই বিধাতা
ভালো জানেন।
তবে অনেকগুলো লক্ষ্যন ই
আজন্ম মেহমান হয়ে অন্তিম বন্ধুর মত হাজির!
আবার জীবনের অনেক
পুরনো সঙ্গী আকাঙ্ক্ষা ও প্রেম
সে ত কবেই টুটে গেছে।
আর হৃদয়ের গহীনে আশ্রিত "ভালোবাসা" খোয়ে খোয়ে বিলীন হয়ে গেছে।
স্মৃতি গুলোও এখন
ধুসর বর্ণ ধারণ করছে।
সৃষ্টি জগতের রূপ লাবণ্য
দর্শনের জন্য যেই দুটি
আঁখি দিয়েছিল বিধাতা!
তাও ঝাপসা হয়ে গেছে।
ইদানীং পাওয়ার সংযুক্ত চশমা ব্যবহারেও দৃষ্টির পূর্ণতা পায় না।
মনের মনিকোঁঠায় আঁকা
স্বপ্ন গুলোও ধুয়ে মুছে
একাকার হয়ে গেছে।
আস্তে আস্তে দেহঘরখানেও
জং ধরে বিভিন্ন প্রজাতির মরীচিকায়
বাসা বেঁধেছে।
চোখের নিচের কালো দাগ,
আর চুল দাড়ির সাদাকালো
ডোরাকাটা অবস্থা!
তা কখনও ভালো করে
মনের আয়নায় উপলব্ধ হয় নি।
কালার করে আর কত দিন?
নিছক মায়ার মোহনজাল
পৃথিবী ত্যাগ করে,
একদিন তো সাড়া দিতেই হবে বিশ্ব ভ্রমান্ধ বিধাতার ডাকে।
আজাদ সরকার
২৩/১১/২০২২ইং