বন্দনা
প্রথমে বন্দনা করি আল্লাহ প্রভুর নামে
যাঁহার রহমতে  এসেছি, এই  ধরাধামে
বিশ্বব্রক্ষাণ্ড সৃজিলেন যিনি সপ্ত সিফাত
সুর্য্য নক্ষত্র আকাশ জমিন দিন ও রাত,
পাহাড় পর্বত নদী নালা সমুদ্র অপার
যার কৃপায় নিবীড় প্রকৃতি হয়েছে উদার
আদিমানব সৃজিলে খোদা অতি ভালবেসে
বিবেক বুদ্ধি ইতরানা দিলেন রুহু  কষে।
আদমের জন্যে হাওয়া প্রভুর নিয়ামত
দ্রোহে প্রেমে নারী শুদ্ধতার পুক্ত মহাব্বত
এ জগত প্রেমে উজালা প্রেমের মেহনত
এই পথে চলে মানুষ জ্ঞানী গুনী মহৎ
আকাশ পাতাল মাঝে গভীরতম দর্শন
সৃজিলে তার চেয়ে অধিক মানুষের মন
আল্লাহ্ তোমায় স্মরন করি সকল কাজে
খুজি জ্ঞান ত্বত্ত হাজারও নিদর্শন মাঝে।


মৃত্যু দেখি
মানুষ মারা যাচ্ছে মারা যাচ্ছে মানুষ প্রতিদিন
বেদনার অশ্রূজল বহিছে নহরে,মৃত্যুর বহরে
এতো মৃত্যু দেখেছে কী পৃথিবী হাজারও বছরে
কালের গোল্লাছুর দম অনিঃশেষ ত্রস্ত্রে মলিন
দেশে দেশে শুধু মৃত্যুর ধুধু চলছে মানুষ তবু
বাঁচার অধিকার ক্ষয়ে কী অন্যায় করেছি প্রভু?


জাতিদম্ভ বাহাছ?রক্তহীন মৃত্যুর লাশ করোনা
লড়াই জীববৃক্ষের আয়ুস্বপত্রে ঝরছে যন্ত্রনা
ধনীরা মরছে গরীবও মরছে বাঁচারতন্ত্র বাসনা
ভরসা সাহস রয়ে যাক হ্নদয়ে বিশ্বাস স্বান্ত্বনা
নোংগর ছেড়েছে জাহাজ ক্ষনে ক্ষনে,ছাপ
কফিন ছুয়েছে পিতৃ হারা সন্তানের নিঃশ্বাস
মৃত্যুমর্ম সঙ্গীতে কাঁপিছে আকাশের গেলাপ
আর কতদিন বঙ্গের ঘাটে তল্লাটে নাভিশাস
তুমি চলে যাও সমুস্ত লোকালয় থেকে সুদুরে
সুদিন সুর্য্য হাসবে হাসবে মানুষ দাড়াবে ঘুরে।

এ কেমন রহস্য কাল আমি গৃহময় কারাগারে
ফ্রেমে আটকে স্থির মাটি মতন সয়ে শব্দহীন
এ আকাশ এই ভুভাগ সমুদ্র স্বপ্ন সবই অর্থহীন
তবু ফেরাই চোখ মেঘমুখ ধী জীবন উকিমারে
চুপিসারে কয় এমন মৃত্যুতে আর মারিসনারে!
গ্রাম কাঁদে শহর জনপদ কাঁদে খাঁ খাঁ দেশময়
জীবন মৃত্যুর কারবালায় উড়ে গেছে যত ভয়।

পাহাড় পুষ্পে আর্তনাথ করোনায় মৃত্যু দেখে
সমাজ আঁচতোড়ন বেটে খায় ভাগ্যের দোহাই
পাচ্য কিংবা পশ্চাত্য জ্ঞান শিকলে নেই রহাই
সংকট সভ্যতার নাভিমুলে সত্যের কান কেটে
আর কতদুর নিয়ে যাবে মৃত্যুর থাবা অন্ধকারে
ঋদ্ধপথে বৈরি হাওয়া দোজখ উম ঘুচবে তাড়ে
মানব প্রাণপ্রকৃতি মৃত্যুমুক্তি চিহ্নইতিহাস ঘাড়ে