দুরন্ত শৈশব
বন্দনা করছি গ্রাম ডুমুর কবির
বেড়ে ওঠা শৈশব,ইছামতীর তীর
নদী তট্ পাশে পিতামহের বসতি
উন্মূক্ত আকাশ আর নিবীড় প্রকৃতি,
এখানে মায়ের স্নেহ উদার অপার
লভিছে সৃজন শক্তি মননে আমার।
শিক্ষক বাবার ঘরেতে জন্ম আমার
পড়াশুনার জন্যে কড়া শাষণ তাঁর
পুবেতে পাঠশালা মোর ক্ষণিক দুরে
আই্ল পথ দিয়ে গিয়েছি ঘুরে ঘুরে
পাঠেতে ছিলনা মন খেলাধুলা ধ্যান
হেডমাস্টারকে ভয় এই ছিল জ্ঞান।
পশ্চিমে ক্ষেতের পর ইছামতী নদী
চেয়ে রহি পালতোলা নৌকা যায় যদি
দক্ষিনেতে ব্রাক্ষ্মন বাড়ীয়া ভিন্ন থানা
গ্রামের সাথে গ্রাম সবাই চেনা জানা।
উত্তরে নদীর বাঁক 'জলা' নাম যার
জলখেলা ডুব ঝাঁপ অবাধ সাঁতার ,
শাপলা শালুক তুলিতে আর উচ্ছাস
কলমির ঝোপে মোরা খুজি বালিহাঁস।
দুরন্ত শৈশব যেন ফুটন্ত গোলাপ
সুমস্ত জীবন ঘিরে এ স্বর্গীয় ছাপ,
মাঠে মাঠে ঘুরি ফিরি প্রানেভরি গন্ধ
মনে মনে ভাবি শুধু স্কুল থাক বন্ধ।
রাত হলে ঘুম চাপে পড়াশোনা নাই
খেয়েদেয়ে তখনি দাদুর ঘরে যাই,
দাদির পাশে শুয়ে ঘুমপাড়ানি গীত
শুনিতে শুনিতে নয়নে ধরিতো নিদ।
পাখিডাকা ভোরবেলা ঘুম ভেঙ্গে যায়
শালিক দোয়েল বলে'ওরে আয় আয়'!
যুগবন্ধি কাব্য ভাষা
কবিতা গদ্য নয় কেন জটিল হয়?
বুঝি কী তার কিছু / হেটেছি পিছু পিছু
বোধের নিশান হাতে কালের ধারায়
মানব স্বপ্ন পাখি / গহীনে মুক্ত রাখি
গানের সুর যদি ছুয়ে মন অবধি
কোকিলা ডেকে ফিরে কবিতা পাড়ায়।
চিত্ত জোয়ারে ভাসে
দ্রোহ প্রেমেতে নাশে
শব্দ ফুলকি মারে
সোহাগ করে তাঁরে
কাছে টেনে লই ভালবাসা ঋদ্ধ সুরে
কত মহুর্ত গেছে
এমনি মুর্ত্য হেসে
বর্নের ঝর্না স্রোতে
দাড়িয়ে কোন মতে
জল রঙ ঘোষে ঘোষে কাব্যতুলি ঘরে।।
মানব মর্ম থেকে
দুঃখ নিয়েছি সেঁকে
ব্যথিত নীড় নীরে
লুব্ধ সবার ভীড়ে
বালিকাঁচা জলে যতনে রেখেছি খুটে
শব্দ সাকারে চলে
কবিতা পুষ্ট বলে
নতুবা বৃথা চাষ
ফসলে দুর্বা ঘাস
পড়োজমি' খড়কুটো তুলি মুঠে মুঠে।
কবিতা ছন্দ সুখে
গভীর নদী বুকে
কবির সত্তা ঘিরে
সজ্ঞার সভ্যশিরে
জলে প্রবাল চিরে যে ধ্বনি কালান্তর
দশক বিভাজনে
বঙ্গের পুংক্তি ঋণে
অচলা জটিলতা
একাব্য কুশিলতা
যুগপ্রাণে শৃঙ্খলতা হানে নিরন্তর।
পাঠেতে নিরানন্দ
শব্দ অসচ্ছ ছন্দ
ভাষা গীতিময়তা
ভাঙ্গছে যথাথতা
কাব্যিক অসারতা হানিছে শিল্পমান
প্রান্জল দুষ্টদোষে
কবি কী অঙ্ককষে?
ভাষা সমীকরন
অন্ধত্ব প্রচলন
এ কোন নদীর মোহনায় ধাবমান।
মোড়ে লভিবে মোড়
শব্দে রহিবে জোর
মৌলিক বিচরনে
চিহ্ন জোটে চরণে
এই পথে হেটেছে যারা উত্তরকালে,
ধরিত্রী ছন্দময়
প্রকৃতি চিত্রময়
শৃঙ্খল রাত্রি দিন
বাজে মধুর বীণ
পাখিদের কলোরোলে নদী স্রোতজলে।
জীবনে জটিলতা
কাব্যে বেসুর কথা
বলছো যুগ-দাবি?
কাব্য এ কোন দ্রাবি
হেটে হেটে তিমিরে খুজে কি নব দিশা।
শব্দ শক্তি প্রথিত
কাব্যকলা গ্রন্থিত
গীতি কবিতা শেষ
উত্তর কালে তা বেশ
সমকালে অকবিতা মহা অমানিশা ।
কবিতায় এ চলা
দিগ্ববিদিক কলা
কতোটা যুক্তিযুক্ত
পাঠেতে নিরানন্দ
যুগবন্ধি কাব্য ভাষা শৃংঙ্খলে স্বাধীন
কাঠালে আমস্বত্ত?
কবির শব্দত্বত্ত
ভাবের শুদ্ধরেখা
শব্দের চিত্রলেখা
মুক্ত বাক্য বলে শিল্প নিজের অধীন ।