নেই অধিকার, না গ্রহণের, না ছেড়ে দেবার!
আশ্বিনের ঘ্রাণ হয়েছে গত, ভোরের আলোয় জেগে উঠেছে সঙ্গীহীন ঘুঘু।
শোনা গেলো কেবল টিনের চালে শিশিরের বেদনা-
শীতের বিদায়ী গান, করুণ নিক্বণ সুর!
জড়ভরত হয়ে আছে চোখ, শরীরে দেখা দিয়েছে চৈতালি ক্ষত!
আঁকড়ে ধরে থাকার কিশোরী সে বাসনা জাগে না আর।
ক্লান্ত বসন্তদূত ফের ডুব দিয়েছে গাছের আড়াল-
ধূসর পড়ে আছে আম্রকানন!
হাঁটছে পদযুগল - আয়ুরেখা ধরে - লোমকূপে অনিচ্ছা'র বাস!
নিজেই যেন নিজেতে পরবাসী - লেগেছে অর্কিডের অভিশাপ!
আনন্দ নির্বাসিত, কেটেছে কামনার ঘোর হঠাৎ-
জেগেছে শূন্যদ্যানের এক কাল্পনিক চিত্র!
অধিকার স্খলনে- দেখা দিয়েছে এক বিমূর্ত রূপ!
অমাবসে মেঘ জমে - ডাহুক মরেছে কেঁদে- দেখেনি কেউ!
আর্তনাদের ধ্বনি ছুঁয়ে যায় বেলা-অবেলায়-
হৃদস্পন্দনে উঠে-নামে গরম ক্লান্ত বাতাস!
বুঝে না শরীর- অবাধ্য হতে যেয়ে বারবার বাধ্য হয়ে যায়!
বসন্তদূতও বৃদ্ধ হয়- কর্কশ আওয়াজে খোঁজে না সঙ্গিনীর সুর।
যা কিছু দেবার ছিল- হয় নি দেয়া প্রবীণ প্রাণে-
এখন কেবল থাকছে স্মৃতি ধরে - অনধিকারে নিষিদ্ধ প্রবেশ!