শত বছর পাড় হয়, অপূর্ণ অমাবসী সে রাত-
যেন এক অভিশাপ, অজান্তে ব্যাথা দিয়ে চলে যায়,
নিয়ে যায় আনন্দ, কি যেন পড়ে রয় চৈতালি দেহে!
পুরো উঠোন জুড়ে - ঝঙ্কারে বুদবুদ, উসকে দেয় শরীরে বিষাদ।

ঢের দিন কেটে যায়- মুচে যায় কার্তিকের ঘ্রাণ,
বসন্তদূত ডেকে উঠে, বায়সের ঘর পুড়ে গাছের আড়াল!
রঙ ধরে সঙ সাজে- হাজারো গোধূলি ক্ষণ,
চুপিসারে উঁকি দেয়, বলিদানে উৎসুক - অঙ্কুরিত আম্রমুকুল!

মেঘেদের জল ঝরে, কেঁপে ওঠে টিনের চাল,
ঝমঝম আওয়াজে জড়সড় বসে থাকে - কপোত জোড়া,
নাইতে নামে কিশোর দেহ- ভুলে যায় শৈশব,
হঠাৎ ডাক দেয় যৌবন, তালগাছ দখলে নেয় ক্ষেতের আল!

এতসব ঘটে যায়- অজান্তে-চুপিসারে জেগে উঠে চর!
ব্যাথা এসে বসে থাকে, দখিনের জানালা ধরে ডাক দেয়,
কি এক অনুভূতি, জোর করে চেপে দেয়-
সজ্ঞান লুপ্ত হয়, বোধ জাগে- অপূর্ণতার এক দৃঢ় আক্ষেপ!