লেখা: ০৮ জানুয়ারি ২০২৩

সূর্য্যিমামার আগে এখন রোজ জেগে উঠি,
মা আজ রাগেন না,
রেগে বলেন না , ঘুমোও এখন। সকাল হয়নি।
সকাল বেলার সেই ছোট্ট পাখি
এখন মস্ত আকাশে উড়ে বেড়ায়।
এই পাখির নেই কোন স্থায়ী নীড়,
সে আজ এক মহাবীর।
এই শহরে এমন অনেক যুবক পাখির ভীড়।
গৃহত্যাগী উড়ছে একা,
যদি হয়ে যায় ঐ স্বপ্নের সাথে দেখা।

কোন স্বপ্ন?
যেই স্বপ্নে পঙ্খীরাজের পিঠে রাজকুমার উড়ে,
রাজকুমারীর প্রেমে যার হাতে দৈত্য মরে !
সেই স্বপ্ন?
সেই স্বপ্ন তো কোন রূপকথা নয়!
এই স্বপ্নে আছে এক ছোট্ট কুড়েঘর,
আছে সুখ, আছে অর্থ, আছে স্ত্রী আছে বর।
আছে মায়ের মুখের হাসি ,আছে বাবার ঘামের গন্ধ।
আছে আত্মতৃপ্তির সুখ , আছে ভালো আর মন্দ।

এমন স্বপ্নের পিছু উড়ছে দিবা রাত্রি
এই শহরের এক ঝাঁক স্বপ্নপাখি।
সুখ খুঁজতে মরিয়া মোরা,
যন্ত্রণাকে দিতে চাই ফাঁকি !

ফাঁকি দেওয়া কি হয় নাকি?
কষ্ট ছাড়া সুখ! আছে নাকি?
তবুও এক অব্যার্থ প্রয়াস,
এক ব্যাথাহীন আর্তনাদের দাস।

কোথায় পাবে সুখ?
প্রেরণা জাগানো প্রেমিকা
অথবা কবিতা ভর্তি দেয়ালিকা,
সব কিছুতেই আজ শুভঙ্করের ফাঁকি।
পেঁচাডাকা রাতে ইচ্ছে হয়,মায়ের কোলে
আর পারছি না গো মা বলে ডুকরে কাঁদি !
ছিঃ ! পুরুষ মানুষ আবার কাঁদে নাকি।