আমি জানি তুমি এখন প্রচুর মিথ্যে বলো,
শুধু আমার সাথে নয়,-
ঘরের পর্দার সাথে, নীলাভ দেয়ালের সাথে,
চায়ের কাপের সাথে, সোফার হাতলের সাথে ।
সামনে বসে আমি কোথাও তোমাকে খুঁজে পাই না,
কেবল হাতড়ে ফিরি দিগবিদিগ ধোঁয়াটে শূন্যতায় ।
তোমার ঘ্রাণ বদলে গেছে, চুলের ফ্যাশন, দাড়ির ছাঁট,
স্বরের ওঠানামা, দৃষ্টির আয়না আর হাতের স্পর্শ পর্যন্ত ।
তোমার সাথে দেখা হলে আমার সচকিত আবেগ
বারবার ক্লান্তিতে মিইয়ে আসে, মরণঘুমে
তলিয়ে যেতে চায় জাগতিক বাসনা সকল !
অথচ, অবসাদের ঢেউরাশি ডিঙিয়ে প্রাণপণে আমি
উজানের বৈঠা বেয়ে যাই...
মিথ্যার চাদরে আপাদমস্তক ঢেকে তুমি তস্করের মতো
পালিয়ে বেড়াও অসম্ভব ক্ষিপ্র গতিতে !
হায়, তুমি কিনা সেই লোক –
যার কাছে গচ্ছিত ছিলো আমার যাবতীয় বিত্ত-বৈভবঃ
কষ্টার্জিত জমি-জিরাত, সাজানো বাগানবাড়ি, ঘুমের আরাম
আর রোজকার সাংসারিক খুচরা খুনসুটি স-ব !