হে ঈশ্বর ! কি বলবো দুঃখের কথা!
সময় এখন বিভেদ,বিষাদে গাঁথা
মানুষ মানুষের পরিধিগুলো ভাঙছে
গঙ্গা-পদ্মা-যমুনায় রক্তাক্ত মৃতদেহ ভাসছে
সময় এখন বিভেদ,বিষাদে গাঁথা।
তাই, হৃদয়ে এই আহ্বান ঝংকৃত হয়
হে ঈশ্বর! হে মহাজীবন!
চৈতন্য-আজান, রামকৃষ্ণ-বুদ্ধ,হজরত
ফিরে এসো মোদের শিরায় শিরায়।
হে ঈশ্বর!
তখনও সময়গুলো ছিল অন্ধকারময়
দ্বিধাগ্রস্ত মানুষের ত্রাণকর্তা হয়ে
উদিত সূর্যের আলোয় আলোকিত করে
মসৃণ করেছিলে মোদের জীবনীশক্তি।
মহান জাতিকে দিয়েছিলে অনিরুদ্ধ দৃষ্টি
সুর-শব্দ-ভালোবাসায় আলোকিত করেছিলে
মোদের মহান ভাষা কৃষ্টি সভ্যতাকে।
কোলে তুলে নিয়েছিলে মানব প্রেমে
প্রানসত্বার বিস্তৃতিতে ভাষা কৃষ্টিকে জগতসভায়
শ্রেষ্ঠত্বের আসনে নেওয়ার কল্পনায় উদ্ভাসিত
করে ঐক্যপ্রীতি বিশ্ব মানবতার সংকল্পে
মানব জাতিকে দিয়েছিলো বিজয়ধ্বজা।
হে মহামানব! হে মহাজীবন !
উদিত সূর্যের আলোয় আলোকিত করো
উজ্জ্বলতার আলোক বর্তিকার প্রত্যয়ে,
স্পর্ধিত স্পর্ধায়,মানুষ হতে দাও মানবতায়।