মানুষের মৃত্যুে তে বিচলিত
না হওয়া একটি মেয়ের মা
অভাব অনটনের তারনায়
আত্মহত্যা করেছিল।
শশ্মানের লেলিহান আগুনের শিখায়
দাউ দাউ করে জ্বলে ওঠা দৃশ্য দেখে
মেয়েটি ভাবতেই পারেনি আগুনের শিখা
এত মোহনিয় ভাবে শেষ করে দিতে পারে
প্রানউচ্ছল এক নমনীয় শরীরকে
যা জ্বলতে জ্বলতে এমন উজ্জ্বল হয়ে উঠতে পারে ।
মানুষের মৃত্যুতে কাঁদতে না শেখা সেই
মেয়েটি শুধু জানতো
সূর্য জ্বলে বলেই পৃথিবী প্রাণ পায়
গাছ,লতা-পাতা আহার পায়।
সেই মেয়েটি শোনেই নি
রাত্রি জ্বলে জ্বলে দিন হয়
দিন জ্বলে জ্বলে রাত হয়
সময় জ্বলে বলেই আমরা বেঁচে থাকি
জীবনের লয় পাই।
আলো জ্বলে বলেই আমরা কর্মমুখী,
অন্ধকার জ্বলে বলেই
আমরা দুঃখ বেদনা ভুলে থাকি।
যৌবন জ্বলে বলেই উদ্ভাসিত হয়ে
ওঠে এই জীবন।
প্রৌঢ়ত্ব জ্বলে বলেই উপচে পরে
অভিজ্ঞতার সোপান।
বৃদ্ধত্ব জ্বলে বলেই খুলে থাকা এক
বই এর শেষ পৃষ্টায়
উপনীত হবে তুমি।
তাই ! সেই মেয়েটির আকুল প্রার্থনা......
হে সৃষ্টিকর্তা আমাকেও এই আগুনের
অংশীদার হতে দাও জ্বলে জ্বলে
ছাঁই হয়ে মিলে যেতে দাও,
যাতে, এই পরিমণ্ডল থেকে হারিয়ে না যাই।
এই পৃথিবী থাকা পর্যন্ত
বাতাসের সাথে সাথে থেকে যাই
আগামী প্রজন্মের জন্যে
স্মরণে সোনালী সময়ের সুবাস হয়ে।