কবি কত সুন্দর করে আঁকে চারুতাকে
রঙ্গিন ধোঁয়াসার জালে,
পাঠক দৃষ্টিসীমায় ধরাপড়া কবির দায়িত্ব নয়,
অধৈর্য দিকচক্রবাল...
বারেবারে গোপগাথা লিখতে গিয়ে,
সীমার অন্তরালে--
অপেক্ষায় থাকে তুলির শেষ আঁচড়,
অদৃশ্যে বেড়িয়ে আসা মন থেকে একবার মন,
অনেক কিছুই শিল্পী আঁকে...
বিগত স্মৃতির জাবরে,
হাতছানির শেষ রথযাত্রা, উদ্দেশ্য উঠে পড়া...
গন্তব্যে পৌঁচ্ছালে, চারিদিক হাহাকার, অপুষ্টি-আক্রান্তে
শিশুর শবদেহ, ছোট ছোট শীতল নিথর হাত,
ভেসে আসে নিজের প্রতিধ্বনির অট্টহাসি,
হে শালগ্রাম এতেও তোমার অঙ্গুলী...
পূর্ণিমায় গোলক দেখা হলো,
চাঁদ কিন্তু রয়েছে আজো অনুভবে...
চন্দ্র নাভিতে জমে যে কস্তুরী,
বলেছিল হবো না স্মৃতি,সেই ঘ্রাণে পাগল কবি,
এত ছোটাছুটি... মায়ামৃগ পিছু পিছু,
পিছু টানে,অদমনীয় মনে বাজে...
নেমে আসা দুরু দুরু নাদ।
অবশেষে ভীম ঢেউ গুলো
উপকুলে আছড়ে পড়া,
প্রাণের বুকে লাগে,
উপস্থিত মনও অনুপস্থিত!
উন্মোচিত যমালয়ে জীবন্ত ভাস্কর্য ধরা দেয়,
আখেনাতেনের নেফারতিতি...
মনের ধারণা গুলো হেঁটে আসে
ভিঞ্চির তুলিতে জন্মায় গসপেল!
চরম পরম... কিছুই না চেয়ে,
বেড়িয়ে আসা আমি।
এই ভাবে...
শেষটা দেওয়ালে ঝুলিয়ে রাখি স্মৃতি।