ছিলাম রমণী হলাম ঘরণী,
সুখ নেই তবু মনে।
এক ঘেয়ে বাড়ি সেই সংসার,
স্বামী ছেলেপিলে গুনে।
সেই ব্যালকনি একই ছাদে,
কাপড় টাঙ্গানো শুকানো।
সেই এক স্বামী আমার আসামী,
অসুখে করে সেবা-যত্ন।
লেখালেখি করে বই শুধু পড়ে,
কোন অভিযোগ নাই।
নেশা নেই কোন ভালো মানুষটি,
বাড়ি ফেরে ঠিক-সময়।
ও’যখন নয়টায় অফিসে বের হয়,
আসে স্মৃতির সমস্যা।
স্মৃতি গুলো সব ভিড় করে আসে,
কলেজ দিনের হতাশা।
মনে হয় আজ দিন যে ফুরাল,
কেউ তাকায় না ফিরে।
চুল ছোট করি নিজে ঘষে ধরি,
ছোট পোশাকের ভিড়ে।
ছোট যদি হয় সজ্জা বসন,
তাতে আসে কি বা যায়।
ভুরু যদি বেঁকে সরু হয় আরও,
পুরুষ দৃষ্টি বাড়ায়।
বয়স যে বাড়ে চল্লিশ ছুঁয়ে,
ভাবটা দেখাই কুঁড়ি।
তবুও মনটা মানতে চায় না,
পঞ্চাশে আমি বুড়ি।
কাল তুমি ছিলে গৃহের লক্ষ্মী,
ভাঙ্গো আজ অধীনতা।
পুরুষেরা আজ অধীর যে কত,
চায় নারী স্বাধীনতা।
পুরুষের মনেতে এঁকেছি চিত্র,
অবলা নেইকো নারী।
তুমি ভয় কর দুর্বল কবি,
কিভাবে বাঁচাবে নারী ?
---------------------------------------------------------
উপরের লেখা কবিতাটি অনেক দিন আগের আমার লেখা একটি কবিতা, আজ হটাৎ প্রকাশ করতে ইচ্ছা হোল। কেউ ভুল বুঝবেন না, আমি কোন নারীজাতি বা নারীবাদকে আঘাত করে কিছু বলতে চাইনি। কেবল সাধারণ কিছু কিছু ঘটনার অবলম্বনে এই কবিতাটির বহিঃপ্রকাশ হয়ে ছিল। যদি কিছু ভুল হয়ে থাকে তবে তার জন্য অবশ্যই আমি ক্ষমাপ্রার্থনীয়।