ওর কাছে সমস্ত বর্ষার জল
ধরে রাখার জন্যে ঝিলের মতো দুচোখ ছিল,
রাতে চিলেকোঠায় বন্ধ খাঁচার পাখা ঝাপটানি
আর্তনাদ শোনার মত দুটি কান ছিল,
অধিকারকে ছিনিয়ে নেওয়া জন্যে
শক্তিমান দুটো হাত ছিল,
শক্ত করে নিজেকে শহীদমিনারের মতো
তুলে ধরার জন্যে দুটি-পা ছিল,
আর লোমশ প্রকান্ড এক-বুক ছিল;
ছিলনা শুধু, ছোট্ট একটা কলজে,
হটাৎ আসামী বলে উঠল,
ধর্ম অবতার... ওই প্রেমিকটি খুন হয়নি,
বিশ্বাস করুন, অনেকটা আত্মহত্যা নিজেকে মেরেছে,
ওর কলজেটা আমি নেব বলেছিলাম,
উত্তর দিয়েছিল বাইপাস ধরে এস,
ট্রাফিক জ্যাম নেই সহজেই হৃদয় পাবে,
প্রথম খুন একটা মেয়ের
যার খুন এই পৃথিবীতে দু-দুবার হয়েছে,
প্রথমে সোহাগ রাতে ভয়ংকর জন্তু এসে
কামড় দিয়ে নারীত্ব-মাতৃত্বের থলিটা--
টেনে বার করেছিল,
দ্বিতীয়বার হটাৎ করে গ্যাস সিলিন্ডার থেকে
মৃত্যুমুখী হল্কা আসছিল... ইচ্ছা করলে
অনায়াসে মেয়েটা ঘর ছেড়ে
পালিয়ে আসতে পারত,
কিন্তু ওর পিঠের শিরদাঁড়াটা
বিয়ের রাতে ভেঙ্গে গিয়েছিল,
কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে আসামী--
তখন আলো আর অন্ধকারের মাঝে,
সম্মুখে মহামান্য আদালত,
কলিজা উপরান মৃত ছেলেটা,
বিবাদীর বিবাহিতার প্রেমিক,
সবাই জানে ... এই মুহুর্তে
প্রসিকিউটর বলে উঠবে-- আসামী সম্পূর্ণ নির্দোষী,
আসলে সব আইনজীবীরা আইনকে বেচে বাঁচায়;
@নীল অভিজিৎ